বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

আতঙ্ক ছড়াবেন না : পশ্চিমাদের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

আতঙ্ক ছড়াবেন না : পশ্চিমাদের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

স্বদেশ ডেস্ক:

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে অহেতুক ভীতি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। গতকাল শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। যদিও ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকায় লাখো সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাদের উদ্দেশে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে, এ ধরনের কথা বলায় আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।’

জেলেনস্কি আরও বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা বলেই যাচ্ছেন, আগামীকালই যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। এমন কথা শুধু প্যানিক ছড়ায়। এটা আমাদের কত বড় ক্ষতির কারণ তা কি তারা জানেন?’

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের রাষ্ট্রদূত ও তাদের পরিবারকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সমালোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘দেশের ভেতরের এমন অস্থিতিশীলতাই এখন ইউক্রেনের জন্য বড় হুমকি।’

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন জো বাইডেন বললেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়া আগামী মাসেই ইউক্রেনে হামলা চালাবে। আবার এর মাঝে জার্মানির পররাষ্ট্র গোয়েন্দা দপ্তর জানালো, তাদের তথ্য বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়ার সব প্রস্তুতি থাকলেও তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ন্যাটো মহসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জানালেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পূর্ব ইউরোপে তাদের জোট আরও সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া এরই মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া হাজারো সেনা মোতায়েন করেছে এবং বেলারুশে ক্ষেপণাস্ত্রও বসিয়েছে।

এদিকে, মস্কো এখনো ইউক্রেনের বিষয়ে ‘সিরিয়াস’ কোনো সিদ্ধান্তে না এলেও ন্যাটোর প্রতি তারা তাদের দাবির ব্যাপারে সোচ্চার। রাশিয়ার নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ন্যাটোকে নাক না গলাতেও বলে চলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁকে তিনি বলেছেন, কিছু করার আগে তিনি (পুতিন) আগে দেখে নেবেন যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেখায়। আবার পুতিনকে প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেও বলে এসেছেন মাখোঁ।

এদিকে, ইউক্রেন তাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিয়ে যতই আত্মবিশ্বাসের গড়া চড়াক না কেন, তাদের ওপর রাশিয়ার হামলার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রুশ আগ্রাসনে মারা গিয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার জন। সেখানকার একটি বড় এলাকা দখলে রাখা বিদ্রোহীদের সমর্থনও দিয়ে আসছে পুতিন সরকার।

এর আগে কিয়েভে আক্রমণের পরিকল্পনা নেই বলে রাশিয়া জানালেও তাদের কাছে এমন দাবির প্রমাণ চেয়েছিলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ক্রেমলিন কিয়েভের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। রাশিয়া যুদ্ধ চায় না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877