শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্থানীয় ভোটে অংশগ্রহণের পথও বন্ধ করল বিএনপি

স্থানীয় ভোটে অংশগ্রহণের পথও বন্ধ করল বিএনপি

স্বদেশ ডেস্ক:

বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না বিএনপি- এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া ছিল। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় ছিল- দলের কেউ চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা করতে পারবে। কিন্তু এবার সেই পথও বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি। দল থেকে জানানো হয়েছে, সিদ্ধান্ত অমান্য করে গুরুত্বপূর্ণ পদধারী কোনো নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে ভোট করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলের এ সিদ্ধান্তের কথা গতকাল বৃহস্পতিবার আমাদের সময়কে জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদধারী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন তারাও ছাড় পাবেন না। এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তা শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে গণ্য হবে।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় গতকাল পর্যন্ত পাঁচ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবু নাছের এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। গত বুধবার রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যাবে বলে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে ঘোষণা দেওয়ার কারণেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে কিনা, তা জানি না। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে আগেই আমাদের জানানো উচিত ছিল। এখন এমন সময় অব্যাহতির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, এ সময় পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। আর আবু নাছের বলেন, বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথমে অংশ নিয়েছিল। এর পর অনিয়মের কারণে সিদ্ধান্ত নেয়, এ সরকারের অধীনে আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না। এর পর ঘোষণা দেওয়া হয় স্থানীয় পর্যায়ের কোনো নেতা চাইলে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হতে পারবেন। দলের এ সিদ্ধান্তে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই সরাসরি দলের পদ থেকে অব্যাহতির চিঠিতে হতবাক হয়েছি।

এ ছাড়া নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম জামাল এবং স্থানীয় একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামকে তাদের পদ থেকে গতকাল অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দুই প্রার্থী আগেই দলের কাছে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা করা তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতেই দলটি এ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, দেশে-বিদেশে চাপে থাকা সরকার এখন সুষ্ঠু নির্বাচন করে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। আবার দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দিলে চলমান আন্দোলনের গতি মন্থর হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে একটা বার্তা নিয়ে সক্রিয় থাকতে চায় বিএনপি। সেটা হলো নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877