স্বদেশ ডেস্ক:
রক্তস্বল্পতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। এর পর তার শরীরে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি জানা ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে জানাজানি হওয়ার পর চিকিৎসকদের আর কিছুই করার ছিল না। ততক্ষণে ওই নারীর শরীরে মিশে গেছে এইচআইভির জীবাণু।
গতকাল শুক্রবার ঘটনার শিকার ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের মাদ্রাজের হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, একটি চাকরি এবং সাড়ে ৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চরম উদাসীনতার কারণে এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী। এ ঘটনায় ওই নারীর আত্মীয়-স্বজনরা সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গতকাল শুক্রবার ওই মামলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন মাদ্রাজের হাইকোর্ট।
ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই নারীর নামে ১০ লাখ টাকা ডিপোজিট করতে বলা হয়েছে এবং বাকি ১৫ লাখ টাকা তার দুটি সন্তানকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একটি সরকারি চাকরি এবং সাড়ে ৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, রক্তস্বল্পতার কারণে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুর শিবকাশীর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে।