শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১০:০৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পাহাড়সম ভাড়ার চাপ থেকে জনসাধারণকে মুক্তি দিন : যাত্রী অধিকার আন্দোলন

পাহাড়সম ভাড়ার চাপ থেকে জনসাধারণকে মুক্তি দিন : যাত্রী অধিকার আন্দোলন

স্বদেশ ডেস্ক:

করোনার লকডাউনের অপূরণীয় ক্ষতির পর দেশ যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, ঠিক তখন সরকার মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে চাপিয়ে দিয়েছে বাড়তি তেলের দাম। তার সঙ্গে বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএ লাগাম ছেড়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। এখন সরকারি লাইসেন্স নিয়ে জনগণের পকেট কাটছে পরিবহনগুলো। প্রতিটি পরিবহন নানান অজুহাতে অনুমোদিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি আদায় করছে।

সরকারের অনুমোদনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে ওয়েবিল সিস্টেমের মাধ্যমে বাসগুলো কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। অথচ জনগণের বেতনে চলেও পরিবহন মালিকদের পক্ষ নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল।

আজ বুধবার রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব কথা বলেন তিনি। সিটিং বাসের নামে চিটিংবাজী বন্ধ, অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতের দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করে যাত্রী অধিকার আন্দোলন।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনুদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। এ সময় যাত্রী অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা এস.এম.সজীব, ঢাকা কলেজ শাখার নেতা নাজমুস শাহাদাত সাকিব,আসিফ ইয়ামিন,নাজিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এই সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, গণপরিবহনগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে নানান অযুহাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে এসব পরিবহন দাঁড়িয়েও অসংখ্য যাত্রী নিচ্ছে। ওয়েবিল দেখিয়ে কিলোমিটারের নির্ধারিত ভাড়ার ধার ধারছে না তারা। অথচ শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিতে চাইলে সিটিং সার্ভিসের অজুহাত দিচ্ছে।

তারা বলেন, নগর পরিবহনের ভাড়া গত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ও বেড়েছে। সেই সময় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে না বলা হলেও ঠিকই ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিচ্ছে কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করছে বিআরটিএ। তাই সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিংবাজী বন্ধ করতে হবে। সব বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আদায় নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।

পরে পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে সংগঠনের পক্ষে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। দাবিগুলো হলো-

১। নগরী থেকে সিটিং সার্ভিস বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে।

২। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাড়ানো পরিবহন ভাড়া পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। ফাঁকফোঁকর না রেখে পরিবহনভিত্তিক সুনির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।

৩। তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগে ভাড়া বাড়ানো গ্যাসের গাড়িগুলো চিহ্নিত করে রুট পারমিট বাতিল তরতে হবে। নগর ও দূরপাল্লার পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করতে হবে।

৪। চুক্তিতে গাড়ি চালানো এবং ওয়েবিলে ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। এবং

৫। সব নগর পরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877