মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন

ভাসমান মসজিদে নামাজ

ভাসমান মসজিদে নামাজ

স্বদেশ ডেস্ক:

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হাওলাদার বাড়ির পুরোনো মসজিদটি খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নামাজ আদায়ের মতো সুবিধা এখন আর নেই। আর এ মসজিদটির স্থলে খোলপেটুয়ায় ভাসছে কাঠের তৈরি আরেকটি মসজিদ। এখানেই গ্রামের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন। গতকাল শুক্রবার তারা সেখানে পড়লেন জুমার নামাজও।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ভয়াল সিডর, আইলা, আম্পান এবং সর্বশেষ ইয়াসের দাপটে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়ার বেড়িবাঁধ বারবার ভেঙেছে। উপজেলার প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে তার ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের ৩৬ হাজার মানুষ। এখানেই ছিল হাওলাদার বাড়ির মসজিদটি। সে মসজিদটিও হারিয়েছে তার অস্তিত্ব। এখন খোলপেটুয়া নদীতে ভাসমান মসজিদটিতে নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা।

গ্রামবাসী জানান, তারা হাওলাদার বাড়ির মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে নামাজ পড়ে আসছিলেন। কিন্তু ইয়াশের থাবায় খোলপেটুয়ার পেটে মসজিদটি বিলীন হয়ে গেছে। এতদিন এ মসজিদের ইমাম হাফেজ মঈনুর রহমানসহ তারা নোনাপানি মাড়িয়ে ডুবন্তপ্রায় মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মিডিয়ার মাধ্যমে এ খবর পৌঁছায় সারা দেশে। এতে সাড়া দেয় চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান।

মসজিদের ইমাম জানান, চট্টগ্রামের শামসুল হক ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী মো. নাসিরউদ্দিন নিজে এসে এখানে একটি ভাসমান মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন। এর নাম রাখা হয় আলহাজ শামসুল হক মসজিদে নূহ (আ.)। আটটি বড় আকারের ড্রামের ওপর মসজিদটি ৬০ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট প্রস্থের নৌকার ওপর দণ্ডায়মান। অজুখানা ও সৌরবিদ্যুৎ সংযোগসহ সব ধরনের সুবিধাও রয়েছে এখানে।

হাওলাদার বাড়ি এলাকার ২৫টি পরিবারসহ আশপাশ এলাকা থেকে আসা মুসল্লিরা এখানে নামাজ পড়ছেন গত মঙ্গলবার থেকে। প্রায় ৬০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নেন তারা। ইমাম জানান, গ্রামবাসী ভাসমান মসজিদটি পেয়ে খুবই খুশি। তাদের কষ্টের লাঘব হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877