স্বদেশ ডেস্ক:
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ শনিবার সকালে ডেঙ্গু মোকাবিলায় এডিস মশা নিধন ও উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় জনসচেতনতামূলক র্যালি উদ্বোধনের সময় এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলনের কার্যকর প্রভাবেই ডিএনসিসি এলাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শনাক্তের হারও রাজধানীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক কম।’
রোদের পর বৃষ্টি, বৃষ্টির পর রোদ এরকম আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে জানান ডিএনসিসির মেয়র। তিনি বলেন, ‘এডিস মশা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কারও একার পক্ষে এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে।’
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছু যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’
এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধেও আগামী ৯ অক্টোবর থেকে চিরুনি অভিযান শুরু হবে বলে মেয়র জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরসহ দেশকে রক্ষার দায়িত্ব সকলের, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এবিষয়ে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
‘শিক্ষার জন্য সুস্থ্য পরিবেশ’ নিশ্চিতকল্পে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার পর শুক্র ও শনিবার সরকারি, বেসরকারি ও আধসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ফগিং ও লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র।
শনিবার মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে উত্তরায় আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফগিং ও লার্ভিসাইডিংসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।