স্বদেশ ডেস্ক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাড়ে ২৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৭১০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র জানায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৪৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
ওই দিন মৃত্যু হয়েছিল ৭০ জনের। নতুন আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৭ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৬২৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা আগের দিন ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের কোভিড পরিস্থিতির সাপ্তাহিক যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে- গত এক সপ্তাহে (৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর) দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় (২৩ থেকে ২৯ আগস্ট) ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে। মৃত্যু কমেছে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ২০ হাজার ৯১৯ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৪৮ জনের। তার আগের সপ্তাহে ৩১ হাজার ৫৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ৭৩৩ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে- গত একদিনে সারাদেশে ২৭ হাজার ৫৪৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯০ লাখ ৯১ হাজার ৬১০টি নমুনা। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ আজ শুরু
আজ সকাল ৯টা থেকে দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হচ্ছে। গ্রামের ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে শহরের সিটি করপোরেশন এলাকার সর্বত্র এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৭ জুলাই দেশব্যাপী একযোগে গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম ডোজ প্রদান শুরু হয়। এই কার্যক্রমের আওতায় দেশব্যাপী একযোগে ৫০ লাখ ৭১ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ওই সময় যারা যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, এখন তারা সেই কেন্দ্রে গিয়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে, অন্যথায় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ অসমর্থ হতে পারে। টিকাদানের ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই দুই সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে যারা আগেরবার ৭ ও ৮ তারিখে টিকা নিয়েছিলেন, তারা ৭ তারিখে টিকাকেন্দ্রে যাবেন। বীরজারা ৯ ও ১০ তারিখে টিকা নিয়েছিলেন, তারা ৮ তারিখের টিকাকেন্দ্রে যাবেন এবং যারা ১১ ও ১২ তারিখে টিকা নিয়েছিলেন, তারা ৯ তারিখে টিকাকেন্দ্রে যাবেন। গণটিকার প্রথম ধাপের দুদিনের টিকাগ্রহীতাদের এবার একদিনে টিকা দেওয়া হবে। শুধু এই সময় যারা বাদ পড়বেন, তাদের জন্য ১০ তারিখ টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম সোমবার রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।