সোমবার, ০৩ Jun ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কতদূর

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কতদূর

স্বদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্র সচিবদের অংশগ্রহণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সবশেষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়েছিল গত ১৯ জানুয়ারি। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে কবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে এর সমাধান আসেনি। উল্টো ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আসে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। দেশটি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে বারবার। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানামুখী সংকট। গত বছর শুরু হওয়া করোনা মহামারীর কারণে থমকে গেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আলোচনাও। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ মানবতাবিরোধী অপরাধযজ্ঞ চলে। প্রাণ

বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। রাখাইন রাজ্যের নাফ নদের তীরে যে মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আসে ত্রাণকর্তা হয়ে। সাময়িক আশ্রয় দেয় সহায়-সম্বলহারা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের। কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় ১১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। সময়ের চাকায় চার বছর পার হয়েছে, এখনো দেশে ফিরতে পারেনি রাখাইনের ভূমিপুত্ররা। দ্বিপক্ষীয় থেকে বহুপক্ষীয় বিষয়টি জাতিসংঘে এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও গেছে। দুই দফা ভেস্তে গেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো না যাওয়ায় এখন কৌশলে বাংলাদেশের ভোটার হয়ে, জাতীয় পরিচয়পত্র বাগিয়ে নিয়ে, পাসপোর্ট করে বিদেশে পাড়ি দেওয়াসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অপহরণ, ডাকাতি, ইয়াবা ও অস্ত্রের কারবারে জড়িয়ে পড়েছে তাদের অনেকে। নিজেদের মধ্যে হানাহানি খুনোখুনিও প্রায় নৈমিত্তিক ঘটনা। এমনকি তাদের হাতে বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। বাস্তুহারা এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে নানা উসকানিও দিচ্ছে কিছু সংগঠন। মিয়ানমারে না ফিরতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগও আছে। রোহিঙ্গা শিবিরে কেবল মিয়ানমারের বার্মিজ ভাষা এবং আরবি ভাষায় লেখাপড়া শেখানোর কথা থাকলেও রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলাতেও লেখাপড়া শেখানোর অভিযোগ আছে। এতে রোহিঙ্গারা সহজেই এ দেশের নাগরিক পরিচয়ে মিশে যেতে পারছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুরো এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে। পাহাড়-বনাঞ্চল এখন আর কিছুই চোখে পড়ে না। পাহাড়গুলো কেটে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘরগুলো বানানো হয়েছে। বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ৬ হাজার ২০০ একর পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যা-সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। ১১ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দেখা দিয়েছে। মানবিক কারণে আশ্রয় দিলেও সব মিলিয়ে শাঁখের করাতে পড়েছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্যাম্পগুলোকে জীবনমান ও সুযোগ-সুবিধাগুলো বৃদ্ধি, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নানাবিধ বহুবার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে বেশি তৎপর হয়ে উঠছে। এটিও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশে অন্তর্ভুক্ত করাসহ একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যে ‘পলিসি রিফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আর নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সাময়িক আশ্রয় দিচ্ছে এবং স্বদেশে তাদের প্রত্যাবাসন হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র অগ্রাধিকার বলে স্পষ্ট করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

এদিকে রোহিঙ্গারা যাতে স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহী না হয়ে ওঠে এ জন্য ক্যাম্পের জীবনমান ও সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিক পর্যায়ে সীমিত করার সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবনমানের ক্রমাগত উন্নয়ন হলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরতরা স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাসে উৎসাহী হয়ে উঠতে পারে। এতে বলা হয়, স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহের ফলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। এ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

আশ্রয় দেওয়ার পরই রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমার; দুই দফা প্রত্যাবাসনের চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু তাদের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব না মেলায় ভেস্তে গেছে সে চেষ্টা। প্রথম দফায় ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বরে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট এ উদ্যোগ ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় দফায় তিন হাজার ৫৪০ জনকে ফেরত নিতে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল মিয়ানমার। কিন্তু রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচটি দাবি তোলেন। এগুলো হলো- রোহিঙ্গা স্বীকৃতি দিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান, ভিটেমাটি ও জমিজমা ফেরত, আকিয়াব জেলায় এডিবি ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফেরত, বুচিদং ও মংডু জেলায় বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রোহিঙ্গাদের মুক্তি, হত্যা-ধর্ষণের বিচার ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন। প্রথম দফার ক্ষেত্রেও এ রকম দাবি জানিয়েছিলেন রোহিঙ্গারা। রাখাইনে পরিবেশ অনুকূল না হলে তারা ফিরতে নারাজ।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত আমাদের সময়কে বলেন, যারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে তারা যেন সব সময় ভালো থাকেন সে দিকে আমাদের দৃষ্টি থাকে। আমরা তাদের বলছি নিজ দেশে ফেরার জন্য তারা যেন প্রস্তুত থাকে। ভাসানচরে যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছে আমরা তাদের সেখানে পাঠাচ্ছি। আধুনিক ওই আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে চার হাজার ৭০০ পরিবারের ১৯ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তিনি আরও জানান, কক্সবাজার এসে জন্ম নিয়েছে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শিশু। এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে তারা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। ক্যাম্পের বয়স্কদের করোনা টিকা দেওয়ার কাজও চলছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে।

কূটনৈতিক তৎপরতা

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে প্রথম থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালায় বাংলাদেশ। প্রথম দিকে মিয়ানমার সাড়া না দিলেও অব্যাহত চাপের মুখে এক সময় কিছুটা নত হয় দেশটি। আলোচনার জন্য ঢাকায় আসেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী উ কিয়া তিন্ত সোয়ে। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, এ জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি করা হবে। এর আগে মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সে দেশে যান। তিনি অং সান সু চিসহ দেশটির সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। দেশে ফিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না, এমন কথা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কখনই বলেনি। যদিও বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত ও চীন প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। তার পরও এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতিই হয়নি।

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ। স্মারকে দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা বলা হয়। তবে কবে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে, সে সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। সমঝোতা স্মারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মাঠপর্যায়ে শুরুর কথা বলা হয়। চুক্তির ২৬ দিনের মাথায় ১৯ ডিসেম্বর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত

২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের এখতিয়ার আছে কিনা জানার জন্য ওই কোর্টের প্রধান কৌঁসুলি ফেতু বেনসুদা একটি আবেদন করেন। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত এবং প্রয়োজন হলে এর বিচার করাই তার উদ্দেশ্য ছিল। একই বছরের ৭ মে কোর্ট এ বিষয়ে বাংলাদেশের মতামত চাইলে সরকার তাদের গোপন মতামত জানায়। এর পর ২১ জুন মিয়ানমারের মতামত জানতে চান কোর্ট; কিন্তু মিয়ানমার কোনো মতামত দিতে অস্বীকার করেন। কোর্ট সব বিষয় বিবেচনা করে ৬ সেপ্টেম্বর অনুকূল রায় দেন। কোর্ট বলেন, ‘অপরাধসংক্রান্ত বিচার প্রত্যাবাসনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

জেনেভাভিত্তিক হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের উদ্যোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গঠিত হয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে প্রমাণ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা। এ বছরের এপ্রিলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলি নিকোলাস কুমজিয়ানকে এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।

রোহিঙ্গা নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজেতে মামলা করে আফ্রিকার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া। গণহত্যার তদন্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় দেশটি। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত বছরের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার শুনানি চলে। ১০ ডিসেম্বর গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দল আদালতে গণহত্যার বিষয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে। শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে মামলার প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির বিচারমন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদু। পরদিন মিয়ানমারের নেতৃত্ব দেন অং সান সু চি। শুনানির সময় তিনি মামলাকে ‘অসম্পূর্ণ ও ভুল’ বলে দাবি করেন। রাখাইনে গণহত্যা হয়নি দাবি করে মামলাটি বাতিল করারও আহ্বান জানান। গত ২৩ জানুয়ারি আদালতের ১৭ জন বিচারক সর্বসম্মতভাবে চার দফা অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। বিশ্বে আইনের শাসন ও মানবতার মর্যাদা রক্ষায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা ও বৈষম্য অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877