স্বদেশ ডেস্ক:
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের একটি সারবাহী জাহাজে ডাকাতের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন।এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।আজ মঙ্গলবার সকালে হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুস সবুর।
নিহতরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লহরিয়া কালিগঞ্জের এগারনলি গ্রামের বাসিন্দা আবেদ মোল্লার ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৪০), একই উপজেলার ইটনা ইউনিয়নের পাংখার চর উত্তর গ্রামের মাহবুব রহমান মুন্সির ছেলে আমিনুর মুন্সি (৪১), ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১ নম্বর গেদ্দা ইউনিয়নের জুয়াইর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. কিবরিয়া (৬৫), একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে শেখ সবুজ (২৭) ও জাহাজের বাবুর্চি ফরিদপুরের বাসিন্দা মো. রানা।
এ ছাড়া মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার মন্ডল গাতি পোস্ট অফিসের চর বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিছ মিয়ার ছেলে মো. মাজেদুল ইসলাম মজিব (১৮) ও একই জেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দাউদ হোসেনের ছেলে মো. সজিবুল ইসলাম (২৯)। আর আহত জুয়েল ফরিদপুরের বাসিন্দা।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাতটি লাশ গতকাল সোমবার রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে আনা হয়। খোঁজ পেয়ে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে লাশ নিতে হাসপাতালে ভিড় করেছেন স্বজনেরা। কিন্তু ময়নাতদন্ত না হওয়ায় তারা লাশ নিতে পারছেন না।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ আখন্দ বলেন, ‘রাতে লাশগুলো আসার পর আমরা সাতটি লাশের সুরতহাল শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।’
এদিকে এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম-সচিবকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
কমিটিকে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দায়দায়িত্ব নিরূপণ, অনুরূপ ঘটনারোধে ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণ করে সুস্পষ্ট সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।