স্বদেশ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক। এ কারণে এনআইডির জন্য আবেদনও বেড়ে গেছে। লকডাউনের মধ্যে গত ছয় মাসে অনলাইনে ৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের আইটি কনসালটেন্ট মুহাম্মদ আশরাফুল হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, দেশে বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য এনআইডি জরুরি। এখন বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের টিকার আবেদনের জন্য এটি আবশ্যক। এ জন্য সবাই জরুরি ভিত্তিতে এনআইডি করতে চাইছেন। অতীতে অনলাইনে এত বেশি আবেদন পড়েনি। এ হিসেবে এটি একটি রেকর্ড।
জানা গেছে, গত ২ মার্চের পর ১২ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৭১ জন এনআইডির জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১০৩ জন ভোটার হয়েছেন। বাকিদের ভোটার করা প্রক্রিয়াধীন। ইসি কর্মকর্তারা বলেন, কেউ আবেদন করার পর তাকে বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে থানা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ১০ আঙ্গুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি
দিতে হয়। পরে তথ্য যাচাই শেষে ভোটার করা হয়। ভোটার হওয়ার পর চাইলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির কপি ডাউনলোড করে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়।
ভোটার হলে দ্রুত এনআইডি নম্বরপ্রাপ্তি নিশ্চিতেও পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি। এখন থেকে কেউ নতুন ভোটার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে এনআইডি নম্বর পেয়ে যাবেন। এতদিন এনআইডি নম্বর জানার জন্য নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ বা ১০৫ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে অপেক্ষা কিংবা কল সেন্টারে ফোন করে জানতে হতো।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের আইটি কনসালটেন্ট মুহাম্মদ আশরাফুল হোসেন বলেন, কেউ ভোটার হলেন কিনা তা জানার জন্য আর নির্বাচন কমিশনে আসতে হবে না। ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে এসএমএস পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া এনআইডি নম্বর হয়ে গেলে সেটিও তিনি ঘরে বসেই প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
লকডাউন চলাকালেও এনআইডি সেবা অব্যাহত রেখেছিল ইসি। অনলাইনে আবেদন করলেও ছবি তোলাসহ অন্যান্য কাজের জন্য আবেদনকারীকে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে যেতেই হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয় না। এর পরও ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ইসি কর্মকর্তারা জানান, করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ইসির ২১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী। মারা গেছেন ৯ জন। সম্প্রতি মাঠপর্যায়ে করোনায় আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিকিৎসা সেবায় সহায়তার জন্য সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে ইসি।