স্বদেশ ডেস্ক:
আফগানিস্তানে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েই চলেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। সবশেষ ষষ্ঠ প্রাদেশিক শহর দখলে নিতে সমর্থ হয়েছে তারা। আফগান বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সামানগান প্রদেশের রাজধানী আইবাক দখলে নেয় গোষ্ঠীটি।
সাম্প্রতিক যুদ্ধে শিশুরা সবচেয়ে বেশি হত্যার শিকার হচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত তিন দিনে তিনটি প্রদেশে অন্তত ২৭ শিশু নিহত ও শতাধিক শিশু আহত হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি বাহিনীর ব্যর্থতার কারণেই পরিস্থিতি বেগতিক হয়েছে বলে মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের।
সরকারি বাহিনী ও তালেবানের লড়াইয়ে সবকিছু হারিয়ে আজ নিঃস্ব আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষেরা। গৃহহারা মানুষের হাহাকারের চিত্র আফগানিস্তানের প্রায় সব এলাকায়। রীতিমতো পথে বসেছেন তারা। আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবানের লড়াইয়ে গত কয়েক দিনে বহু শিশু নিহত হয়েছে। আহত শতাধিক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, শিশুর বিরুদ্ধে এমন সহিংসতা এবং অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তারা খুবই মর্মাহত।
আদতে যতই দিন যাচ্ছে ততই সরকারি বাহিনী হয়ে পড়ছে কোণঠাসা। একের পর এক প্রদেশ ও রাজধানী চলে যাচ্ছে তালেবানের দখলে। গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত তালেবান যোদ্ধারা অন্তত ৬টি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে। যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। সোমবার তালেবান দখলে নেয় উত্তরাঞ্চলীয় সামানগান প্রদেশের আইবাক শহর।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলে আরেক প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত ও দক্ষিণের কান্দাহার ও লস্কর গাহ দখলে নিতেও তালেবান লড়াই চালাচ্ছে। সেখানে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। লস্কর গাহ’তে গত দুই দিনের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়া ছাড়াও একাধিক স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে।
মূলত মার্কিনসহ ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে থাকায় এই সংকটের সৃষ্টি। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র দোষ চাপাচ্ছে সরকারি বাহিনীর ব্যর্থতার ওপর। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পেন্টাগন বলছে, আফগান বাহিনী সঠিক পথে নেই, তাদের সামর্থ্য ছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে তালেবানের কৌশলে।