বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

ধর্ষণ মামলা : জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য লোটনের বিরুদ্ধে…….?

ধর্ষণ মামলা : জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য লোটনের বিরুদ্ধে…….?

স্বদেশ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী। নিজেকে লেখিকা পরিচয় দেওয়া ৩২ বছর বয়সী ওই নারী গত ১১ জুলাই ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। পরে বিচারক আবু নাসের মো. জাহাঙ্গীর আলম ওই নারীর জবানবন্দী গ্রহণের পর অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাপা নেতা লোটন ‘সিকদার অ্যান্ড পাবলিকেশন’ ও ‘আকাশ পাবলিকেশনের’ মালিক। এ সুবাদেই ওই লেখিকার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তিনি লোটন সিকদারের সঙ্গে সহযোগী লেখক হিসেবে ‘সংগঠক ও সংগঠন’ নামে একটি বই প্রকাশে কাজ করেন। এ ছাড়া আকাশ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ শীর্ষক একটি ছবির অ্যালবাম প্রকাশেও কাজ করেন তিনি। সে সময় কাজের জন্য ওই নারীকে প্রায়ই লোটন সিকদারের সঙ্গে দেখা করতে হতো। কিন্তু লোটন সিকদার প্রায়ই তাকে নারারকম ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে উত্ত্যক্ত করতেন। লোটন বাবার বয়সী ভেবে ওই নারী বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। পরের দিকে লোটন সিকদার ওই নারীকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নোংরা ছবি পাঠাতে শুরু করেন। বাদিনী এর কঠোর প্রতিবাদ করতে পারতেন না; কারণ তাকে কাজের জন্য লোটন সিকদারের কাছে যেতে হতো। মিামলায় আরও বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি লোটন সিকদারের জন্মদিন উপলক্ষে তার অনুরোধে ওই নারী কোতোয়ালি থানাধীন বিউটি বোর্ডিংয়ে আসেন। সেখান থেকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি নিরিবিলি স্থানে গাড়ি থামিয়ে লোটন সিকদার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। সে সময় তিনি মোবাইল ফোনে এর ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এর পর লোটন হুমকি দিতে থাকেন, বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হবে। পরে এ ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে লোটন সিকদার ওই নারীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ বাদিনীকে বিয়ে করবে বলে ডেকে এনে গত ৩০ জুন রাতে বিউটি বোর্ডিংয়ের দোতলার একটি কক্ষে লোটন তাকে ধর্ষণ করেন।

তিবে অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর সিকদার লোটন বলেন, আমি জাতীয় পার্টির যুব সংহতির সভাপতি এবং অভিযোগকারী নারী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক। আমাদের এ সংগঠনের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। এ গ্রুপিংকে আরও বাড়ানোর জন্যই কেউ এ মিথ্যা অভিযোগে তুলে ওই নারীকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আমি যে কোনো সাজা মাথা পেতে নেব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877