স্বদেশ ডেস্ক:
ফেসবুক কিছু ব্যবহারকারীকে সামাজিক মাধ্যমে ‘উগ্রপন্থী বিষয়বস্তুর’ ব্যপারে সর্তক করতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি একটি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
টুইটারে শেয়ার করা স্ক্রিনশট দেয়া একটি নোটিশের মাধ্যমে জিজ্ঞাস করা হয়েছে, ‘আপনার পরিচিতদের মধ্যে কারো উগ্রবাদী হওয়ার বিষয়ে কি আপনি অবগত? এছাড়াও ব্যবহারকারিদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘আপনি কি সম্প্রতি ক্ষতিকারক উগ্রবাদী কোনো বিষয়বস্তুর প্রকাশিত হয়ে দেখেছেন?’
ব্যবহারকারীদের এই ধরনের কিছু চোখে পড়লে সাহায্যের জন্য আবেদনের লিংক সংশ্লিষ্ট পোস্ট দু’টি তে যুক্ত করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী এবং নাগরিক অধিকার সংগঠন দ্বারা বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক মাধ্যম নেটওয়ার্কটিকে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাপ দিচ্ছিল। বিশেষ করে গত নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সকর্থকদের মার্কিন কংগ্রেস হামলার পর দাবিটি জোড়ালো হয়েছিল।
ফেসবুক বলছে এটা ছোট একটা পরীক্ষা। প্রাথমিকভাবে এটাকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর সীমাবদ্ধ রাখা হবে। পরবর্তীতে এটা বৈশ্বিকভাবে সামনে নিয়ে আসা হবে।
একটি ইমেইল বিবৃতিতে ফেসবুকের মুখ্যপাত্র বলেছেন, যারা উগ্রপন্থী বিষয়বস্তুর নিয়ে কাজ করেন এবং এ ধরণের বিষয়গুলো প্রকাশের সাথে জরিত ফেসবুক সেসব লোক এবং সংস্থার মূল জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে চায়। যারা এরই মধ্যে এই ধরণের বিষয় নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য আমাদের বৃহত্তম কাজের অংশ হিসেবে এটা শুরু করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এই জায়গাটায় এনজিও এবং একাডেমিক বিশেষজ্ঞদের সাথে অংশীদার হয়ে কাজ করছি। ভবিষতে এই আরো বিস্তৃত হবে বলে আশা করছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ কল টু অ্যাকশনের প্রতিশ্রুতির একটি অংশ ছিল এটি। ওই বছর ফেসবুকে সরাসরি প্রচারিত নিউজিল্যান্ডে আক্রমণাত্মক হামলার পরে এটি চালু করা হয়েছিল হিংসাত্মক উগ্রবাদী বিষয়বস্তুগুলো অনলাইন থেকে প্রতিহত করার জন্য।
সূত্র : ডন