মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কি.মি জট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কি.মি জট

স্বদেশ ডেস্ক:

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে রাজধানী থেকে লোকজন যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটির তোয়াক্কা না করে মানুষ ছুটছে যে যার মতো ব্যবস্থায়। কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ কোনোভাবে ঢাকার বাইরে গিয়ে চড়ছেন গণপরিবহনে। জানা গেছে, গ্রামের বাড়িতে ফিরতে মরিয়া মানুষগুলোকে বহনকারী যানগুলোর বিশাল জট সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সৃষ্ট এ তীব্র জট পৌঁছেছে দাউদকান্দির শহীদনগর থেকে পুটিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার।

দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও দীর্ঘ সময় যানজটে বসে থাকতে পারছেন না মানুষ। জ্যামের ভোগান্তি মাথায় নিয়ে অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোর পাঁচটায় ঢাকায় সায়দাবাদ থেকে একটি বাসে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। জ্যাম ঠেলে দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত আসতে তাদের সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে কত সময় লাগবে, জানা নেই তাদের।

সোবহান নামে এক যাত্রী জানান, ভোরে রওনা দিয়ে দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগর পর্যন্ত তিনি আসতে পেরেছেন। জ্যামের কারণে নোয়াখালি পর্যন্ত যেতে আরও ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগতে পারে।

অনেক যাত্রীর অভিযোগ, উল্টো পথে যানবাহন চলা, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে লোকাল বাসের স্ট্যান্ড থাকা ও পণ্যবাহী যানবাহনের কারণে তীব্র এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন বাস চালক জানিয়েছেন, ঈদের যাত্রা হলেও যাত্রীদের পাশাপাশি তাদেরও ভোগান্তি অনেক। দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকার কারণে বাসের তেল-গ্যাস পুড়ছে। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দিন-রাতের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে।

সোহেল মিয়া চাকরি সুবাদের থাকেন ঢাকায়। তার গ্রামের বাড়ি চান্দিনা সদরে। তিনি জানান, বাসা থেকে রওনা দিয়ে কোনো রকম দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত আসেন। পরে সাত কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি পৌঁছান তিনি।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যানজট নিরসনের চেষ্টা চলছে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877