স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যেসব অভিযোগে তার এই খেতাব বাতিলের সুপারিশ করেছিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), তার সত্যতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য রোববার অনুষ্ঠিত সভায় আবারো তাগিদ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জামুকার মহাপরিচালক মো: জহুরুল ইসলাম রোহেল নয়া দিগন্তকে বলেন, গতবারের সিদ্ধান্ত একবিন্দুও পরিবর্তন হয়নি, সেটাই আছে। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্ত কমিটি রয়েছে (সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান)। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিবে। তারপর সিদ্ধান্ত। আরো অনেক সময় লাগবে, আমি যেটা বুঝি।
জামুকার আগের বৈঠকে জামুকা বঙ্গবন্ধুর খুনীরাসহ জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়। মূলত বঙ্গবন্ধু খুনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের এই সুপারিশ করে জামুকা।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। তবে গত সপ্তাহে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা হয়নি। শুধু সুপারিশ করা হয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত বা সাজাপ্রাপ্ত খুনি তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা যদি পাওয়া যায়, বিষয়টি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিছু লোকের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হচ্ছে আত্মস্বীকৃত খুনি, আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত এমন ব্যক্তি। সেই পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন।
অনেকেই অনেক উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি যে খুনি সেটা প্রমাণ করে অনেকেই অনেক তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে কমিটি তদন্ত করছে। তদন্ত করার পর জাতির সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে। আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। দুই মাসের মধ্যে তাদের দালিলিক প্রমাণ দাখিল করতে হবে। জিয়া কবে কোথায় কীভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে জড়িত ছিলেন সেটা খুঁজে বের করবে তারা। এটা বের করার পর আমরা জাতির সামনে পেশ করব। তারপর রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটিতে আলোচনা হবে।