স্বদেশ ডেস্ক: কিডনি সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পানের বিকল্প নেই। যে কোনো ধরনের ভেজাল খাদ্য গ্রহণ, হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খেলে কিডনি ভালো থাকে। রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ আছেÑ এমন খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই এসব পরিহার করা উচিত। ধূমপান কিডনির ক্ষতি করে। কিডনির সুস্থতার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন কিডনির বিপদ ডেকে আনে। তাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্লাড প্রেসার থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সর্বোপরি নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। মোটামুটি এ নিয়মগুলো মেনে চললে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু কারণ থাকে। কারও শরীরে যদি অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম তৈরি হয়, শরীর দিয়ে যদি অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম নির্গত হতে থাকে, অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হলে কিডনিতে পাথর হয়। আবার কখনো কখনো প্রকৃতিগত কিছু কারণেও কিডনিতে পাথর হতে পারে। যেমনÑ কিডনিতে প্রস্রাব তৈরি হলো কিন্তু কোনো জটিলতার কারণে তা মূত্রথলি পর্যন্ত যেতে পারল না। এতে স্টেচেস হয়, ইনফেকশন হয়। সেখান থেকে পাথর হতে পারে। আবার হজম সমস্যায় কিডনি নিয়মিত পানি খেলে কিডনি যদি বর্জ্য অপসারণের সুযোগ পায়, তাহলে কিডনিতে পাথর হয় না। কিডনি টিউমার অনেক সময় জেনেটিক কারণে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। তবে পরিবেশগত যেসব কারণে কিডনির টিউমার হয়, চাইলে তা বন্ধ করা যায়। কিডনিতে টিউমারের জন্য দায়ী হলো ধূমপান, ভেজাল খাদ্য ও রাসায়নিক খাদ্য দ্রব্য। একটু সচেতন হলে, কিছু নিয়ম মেনে চললে কিডনি কিন্তু সুস্থ রাখা যায়।