স্বদেশ ডেস্ক: পাঁচ দিনের চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
এর আগে শনিবার স্থানীয় সময় ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট বেইজিং বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
সকালে বেইজিং ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে দেওয়া হয় ‘স্টাটিক গার্ড’ও। বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান চীনের সহ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুয়ো ঝাওহুই, উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফাহিমের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও সফরে ছিলেন।
গত ১ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে সরকারি সফর ও ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনে প্রথম সফরে শুরুতে ডালিয়ান পৌঁছান শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ডালিয়ানে সামার ডাভোস নামে পরিচিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। বৈঠক করেন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে।
ডালিয়ান থেকে বুধবার বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপলে পৌঁছলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও তোপধ্বনির মাধ্যমে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দুদেশ পাঁচটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা ও একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জে সই করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেওয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। বিকেলে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
শুক্রবার দুপুরের পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কিত মিনিস্টার সান তাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের জাতীয় বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি ঝাংসুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে বেইজিংয়ের দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এরপর রাতে চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।