স্বদেশ ডেস্ক:
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে শহরটিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি দল। হুবেই প্রদেশের শহরটিতে তদন্ত করবেন তারা। মহামারি এই ভাইরাসটি আসলেই উহান থেকে ছড়িয়েছিল কিনা, তা-ই তদন্ত করবে সংস্থাটি।
চীন থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এই দাবি বার বার উড়িয়ে দিয়েছে দেশটি। এটা এখনও নিশ্চিত নয় ভাইরাসটি ছড়িয়েছে কোথা থেকে। তাই এর উৎস কোথায় জানতে ১০ জন আন্তর্জাতিক এপিডেমিয়োলজিস্ট এবং পশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত তদন্ত দলটি আগামী জানুয়ারি মাসে চীনে যাবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র হেডিন হল্ডরসন বিবিসিকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত কোভিডের উৎস সন্ধানে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই তদন্ত শুরু হবে।’
এদিকে করোনার উৎস নিয়ে কাউকে দোষ দিতে চাচ্ছে না ডব্লিউএইচও। তবে, ভবিষ্যতে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সংস্থাটি এ তদন্ত পরিচালনা করবে।
জার্মানির রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের এপিডেমিয়োলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ফ্যাবিয়ান লিন্ডার্টজ তদন্ত দলের ১০ জনের মধ্যে অন্যতম একজন। বিবিসিকে তিনি জানান, করোনার উৎসের জন্য কোন দেশ দায়ী, তা খুঁজতে এ তদন্ত নয়। বরং, কী ঘটেছিল, তা জানার পর পাওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ভবিষ্যতে ঝুঁকি কমানোর প্রস্তুতি মাত্র। চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই তদন্তের কাজ চলতে পারে বলেও তিনি জানান।
তদন্ত চালাতে অনেক আগে থেকেই বেইজিংয়ের কাছে অনুমতি চাইছিল ডব্লিউএইচও। কিন্তু গড়িমসি করে সংস্থাটিকে অনুমতি দিচ্ছিল না চীনের রাজধানী।
চীনের উহন শহরে গোপন এক রোগে দিনের পর দিন মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে জানা গেল সার্সবাহী করোনা রোগে আক্রান্ত হচ্ছিলেন তারা। তবে কোথা থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। প্রথমে বাদুড়, পরে সামুদ্রিক মাছ এরও পরে আরও বিভিন্ন মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি করা হয়েছিল। চীন থেকে ছড়িয়েছে বিধায় চীনকেই দায়ি করা হচ্ছিল। এমনও বলা হয়েছে, চীনের একটি গবেষনাগার থেকে করোনা ছড়িয়েছে। প্রতিটি দাবি নাকচ করেছে দেশটি। উল্টো, ভারত-বাংলাদেশ বা সৌদি আরব, ইটালি এমনকি আমেরিকার থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চীন।
এসব বিষয় নিয়ে ট্রাম্প আমলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিযোগ করেছিল, করোনার উৎস সম্পর্কে তথ্য গোপন করছে চীন।