মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

স্বদেশ ডেস্ক:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনসহ ১৮ জন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি বিষয়ে অভিযুক্ত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব নুমেরী জামান।

আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকিও দিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লেখ, গত ১২ নভেম্বর মাসিক সমন্বয় সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্ব ভাতার তালিকায় নিজের অংশ দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। যা বিধি সম্মত না হওয়ায় ইউএনও নাকচ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভা অসমাপ্ত রেখে চলে যান চেয়ারম্যান। এরপর চেয়ারম্যান ইউএনও কার্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা লোক দিয়ে খুলতে গেলে, তার ছবি তোলেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।

একই সঙ্গে ক্যামেরা খুলে ফেলার কারণ জানতে চাইলে ইউএনওকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করা হয়। বেশি কথা বললে পিটিয়ে নরসিংদী পাঠিয়ে দেব, উপজেলা পরিষদ কি তোর বাবার সম্পত্তি, উপজেলা পরিষদ কি তুই চালাবি? এভাবে গালমন্দ করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সেইদিন রাতে ইউএনওসহ ১৮ জন কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডিসি বরাবরে গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ১৬ নভেম্বর ৩৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠায় জেলা প্রশাসন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে গত ২৪ নভেম্বর সরেজমিন তদন্ত করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা।

নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৫ নভেম্বর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় জিডি (নং ৫৫৮) করেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। একই দিন যৌথ স্বাক্ষরিত উপজেলার রাজস্ব তহবিলের ব্যাংক হিসাবের ১৯টি চেকের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস। যা নিয়েও আদিতমারী থানায় জিডি (নং ৫৫৯) করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্টেনোটাইপিস্ট হাবিবুর রহমান।

একই ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ইউএনও’র বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় জিডি করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক। ইউএনওসহ কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান চেয়ারম্যান ফারুক। ইউএনও’র নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানান তিনি। ঘটনার পর থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877