স্বদেশ ডেস্ক: শাহজালাল বাবা কি জয়, ৩৬০ আউলিয়া কি জয়। ওলি আউলিয়া কি জয়- এভাবে শত শত ভক্তদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মাজার প্রাঙ্গণ। গত ৩০ জুন বাদ জোহর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে লাকড়ি তোড়া উৎসবের সূচনা হয়। প্রায় ৭০০ বছর আগে ওরসের তিন সপ্তাহ আগে এ উৎসব চালু হয়। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা লাকড়ি তোড়া উৎসবে ছুটে আসেন। কেউ কেউ থেকে যান ওরস পর্যন্ত। আবার কেউ কেউ চলেও যান। উৎসবের শুরুতে হজরত শাহজালালের (রহ.) দরগাহ থেকে বের হয় ভক্তদের মিছিল। এ সময় তাদের গায়ে ছিল লাল চাদর। হাতে ছিল দা, কাঁচি। মিছিলটি আম্বরখানা পয়েন্ট, চৌকিদেখি হয়ে সোজা লাক্কাতুড়া চা বাগান পর্যন্ত যায়। সেখানে চা বাগানের ভেতর ঢুকে ভক্তরা লাকড়ি সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে সংগ্রহ করা সেই লাকড়ি নিয়ে আসেন শাহজালাল মাজারে। আর ওই লাকড়ি দিয়েই রান্না করা হয় ওরসের শিরনি। আগামী ২৩ ও ২৪ জুলাই হজরত শাহজালালের (রহ.) ওরস অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ জুলাই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শাহজালাল (রহ) বার্ষিক ওরস।
এ ব্যাপারে দরগাহে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের খাদেম সামুন মাহমুদ খান জানান, ৭০০ বছর ধরে লাকড়ি তোড়া উৎসব পালন করছেন তার ভক্ত ও আশেকানরা। দেশ-বিদেশে থাকা ভক্তরা ছুটে এসেছেন ওই উৎসবে যোগ দিতে। তারা সেই লাকড়ি সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন মাজারে। সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে। পরে শিরনির কাজে সেগুলো ব্যবহার করা হবে।