শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্র ফেরানো ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না : গয়েশ্বর

গণতন্ত্র ফেরানো ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না : গয়েশ্বর

স্বদেশ ডেস্ক:

বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ফেরানো ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ‘ধর্ষণ ও দুর্নীতির মহোৎসব: বাংলাদেশের ভবিষ্যত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জনগণ তার নাগরিক অধিকার ঘুম থেকে উঠার পরে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পালন করতে পারবেন, ভোগ করতে পারবেন-এটাকেই বলে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই দেশ, এই রাষ্ট্র এদেশের জনগণ গণতন্ত্র নিশ্চিত না করতে পারবে, ততদিন জনগণ ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি পাবো না।’

তিনি বলেন, ‘এদেশে সমাজে বা রাষ্ট্রে যে অবক্ষয় চলছে একদিনে তা আসে নাই, একদিনে যাবেও না। আমিও বলব, কালকে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাতারাতি এটা শেষ হবে না। তবে এইটুকু বলতে পারি যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটি গণতান্ত্রিক চর্চার সূচনা যদি হয়, ধীরে ধীরে এটা যদি প্রাতিষ্ঠানিক হয়, সকল শ্রেণি-পেশা-বয়স সকলের মধ্যে যখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে সেইদিনই এই অবক্ষয় দূর হবে।’

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক বলেন, ‘আজকে ধর্ষণটাকে যদি “ধ” দিয়ে না লিখে “দ” দিয়ে লেখেন-তাহলে ওটা একটা দর্শণ হয়ে যাবে। আজকে আওয়ামী দর্শণটাও এটার মধ্যে পড়ে গেছে। কারণ স্বাধীনতার চেতনা বিশ্বাসী যে রাজনৈতিক দল ও সরকার স্বাধীনতার চেতনা ও যৌন চেতনা যে এক নয়- এই তফাতটাই মূর্খকরা বুঝে না। আর বুঝে না বলেই এই ব্যাপারে যথাযথ যে আইনের প্রয়োগ বা পদক্ষেপ নেয়া সেটা তারা নিতে পারছে না বলে সমাজে অস্থিরতা বেড়েছে, অবক্ষয় বেড়েছে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা যদি সামনে কম দেখে তাতে কিছু যায় আসে ন। রাজনীতিবিদরা যদি দূরে বেশি না দেখে সেটাই হয়ে যায় সমাজের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ রাজনীতিবিদদের দেখতে হবে দূরে। আজকে কথা ভাবতে হবে না, একমাস পরে কী, এক বছর পরে কী হবে, পাঁচ বছর পরে কী হবে, একশ বছর পর আমার দেশের অবস্থা কোথায় যাবে-সেই দূরদর্শী যদি না থাকে সেই সদিচ্ছা যদি না থাকে পলিটিশিয়ানদের, তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের যদি ঘাটতি থাকে। তাহলে যা হবার তাই হচ্ছে। রাজনৗতি যদি অর্থ উপার্জনের প্রাতিষ্ঠান হয়, একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির মতো হয় যে বিনা বেতনে অজস্র কর্মী পাওয়া যায়। নিজের খাই নিজের পড়ি-তারপরে আমি দল করি, বাপের টাকা চুরি কইরা হলেও আমার পদ-পদবি ঠিক রাখি সেখানে কারো বেতন দিতে হয় না, ভাতা দিতে হয় না। সেখানে রাজনীতিবিদরা এতে শ্রমিক পায় বিনা বেতনে, তাদেরকে দিয়ে যে কাজটা করায় সেই আদর্শের কাজটা আদর্শের জায়গায় রেখে এবং ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতাকে সেইভাবে তারা দায়িত্বশীল মনে করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় তাহলে দেশ ও সমাজে এই অবক্ষয় আসে না।’

সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক জিকেএম মুস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক আবু জাফর খান, শহিদুল ইসলাম শহিদ, প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877