স্বদেশ ডেস্ক:
রিজেন্ট হাসপাতালের আলোচিত-সমালোচিত চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাহেদকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
কারাগারের সিনিয়র জেলার কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় রুট পারমিট নিয়ে দেওয়ার কথা বলে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মার্ট থেকে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় রোববার সাহেদকে আদালতে হাজির করা হবে। এ জন্য আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে আসা হয়।‘
এর আগে গত ১৩ জুলাই মেগা মার্ট মোটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন মো. সাইফুদ্দিন। জিয়া উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বর্তমানে সাইফুদ্দিন তার ব্যবসা দেখাশোনা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মেগা মোটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি-হুইলার ঢাকা সিটিতে চলাচলের রুট পারমিটসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। এর জন্য সাহেদ করিম মেগা মোটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি নিজ নামে খোলা প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকা অ্যাভিনিউ গেট শাখার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নগদ ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। একই বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার মাধ্যমে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০ জানুয়ারি ৫ লাখ টাকা, ১ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ৬ লাখ টাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা, ৫ মার্চ ১ লাখ টাকাসহ মোট ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ লাখ, ৮ ফেব্রুয়ারি ৬ লাখ, ২০ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ও ৭ মার্চ ৭ লাখ টাকা মেসার্স মেগা মোটরসের অফিসে এসে নগদ গ্রহণ করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, টাকা গ্রহণ করে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সাহেদ করিম মেগা মোটরসকে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা একটি পরিপত্রের ফটোকপি দেন। সেখানে ২০০ সিএনজি থ্রি-হুইলারকে ঢাকা সিটিতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। পরে বিআরটিএতে যোগাযোগ করলে পরিপত্রের ফটোকপিটি ভুয়া বলে সেখান থেকে জানানো হয়। তারপর থেকে সাহেদ করিমের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।