রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

বন্যার সাথে বসবাসের উপায়

বন্যার সাথে বসবাসের উপায়

সারওয়ার মো: সাইফুল্লাহ্ খালেদ:

আমাদের এ বদ্বীপ অঞ্চলের দেশটি স্বভাবতই নিম্নাঞ্চল। উপরন্তু উজান থেকে অনেকগুলো শক্তিশালী নদী এর ওপর দিয়ে প্রবাহিত, যেগুলো বর্ষাকালে ভয়ানক রূপ ধারণ করে। যে কারণে স্মরণাতীতকাল থেকে এ দেশ বন্যাপ্রবণ। এর সাথে লড়াই করেই আমাদের পূর্ব-পুরুষরা বেঁচেছেন, মরেছেন এবং আমাদেরও তাই করতে হচ্ছে। এ জন্য আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। দোষ দিয়ে লাভ নেই। এ যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। আধুনিককালে আমাদের বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে যতদূর সম্ভব বন্যার সাথে নিরাপদে বসবাস করার উপায় বের করতে হবে। মনে হয়, বন্যাকালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জনদুর্ভোগ লাঘবে সেটা স্বল্প ব্যয়ে সম্ভব।

পল্লী-প্রধান আমাদের দেশের ঘরবাড়িগুলো, গ্রামাঞ্চলে একটি বন্যাপ্রবণ এলাকায় যেমন হওয়া উচিত, সাধারণত তেমনভাবে নির্মিত হয় না। সেটা আর্থিক অনটনের কারণেই হোক বা পল্লীর জনসাধারণের অদূরদর্শিতা বা অজ্ঞতার কারণেই হোক। এ কারণে তারা বন্যা এলে প্রতি মৌসুমেই একই রকম বিপদে পড়ে। ঘরবাড়ি ছেড়ে, শখের আসবাবপত্র পানিতে ফেলে আশ্রয় কেন্দ্রে বা উঁচু রাস্তার ওপরে তাদের আশ্রয় নিতে হয়। বন্যাকালে হালে এটা এ অঞ্চলের লোকের যেন একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। তবে কিছু পরিবার আছে যারা শত কষ্টেও সাধের ঘরবাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে নারাজ। কষ্ট করে হলেও ঘরের ভেতর খাট-চৌকি বা মাচার ওপরে আশ্রয় নেয়, রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া করে। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের কিছু বিত্তশালী ও অভিজাত পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে স্বল্পকালের জন্য হলেও বসবাস পছন্দ করে না। পানির সাথে ঘরেই বসবাস করে।

অনেক এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র বা উঁচু রাস্তাও নেই। বাধ্য হয়ে লোকে কলাগাছের বা এ জাতীয় ভাসমান গাছের ভেলায় বা নৌকায় আশ্রয় নেয়। বন্যাকালে এসব এলাকার লোকদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না- অনেকে মারাও যায়। রান্নাবান্না করা বা প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ায় তাদের যে কষ্ট তা দেখলে বা ভাবলে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। আমরা যারা একটু সুবিধাজনক অবস্থানে আছি তারা এগুলোকে ‘স্বাভাবিক’ বলে ধরে নেই। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে কিছু কিছু ত্রাণ তৎপরতা যে চলে না, তা বলব না। তবে তা নিতান্ত অপ্রতুল। তাছাড়া বিপুলসংখ্যক পানিবন্দী লোকের সবাইকে সাহায্যের আওতায় আনাও প্রায় অসম্ভব। যেসব স্কুল বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তা মানুষের চাপে এবং যথেচ্ছ ব্যবহারে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে এসব সংস্কার করতে শুধু যে বেগ পেতে হয় কেবল তাই নয়, এর পেছনে বিপুল অর্থও ব্যয় করতে হয়। এসব কারণে বন্যাকালে যাতে জনদুর্ভোগ লাঘবের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা উদ্ভাবন করা যায় সে দিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করা নতুন কিছু নয়। জাপান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। সে দেশে একসময় নিরাপত্তার স্বার্থে সবাই কাঠের ঘরবাড়ি নির্মাণ করত, যেন ভূমিকম্পে ধসে পড়লেও জানমালের তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। সেখানে গ্রামাঞ্চলে এখনো কাঠের ঘরবাড়ি নির্মাণের চল আছে। শহরেও বিত্তশালী পরিবারগুলো শখ করে বাগানবাড়িতে কাঠের ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। এছাড়া সেখানে আজকাল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশাল বিশাল বহুতল অট্টালিকা নির্মিত হচ্ছে, যার ফলে ভূমিকম্প হলে এগুলো ভেঙে বা ধসে পড়ে না। এই বিশাল সুউচ্চ অট্টালিকাগুলো ইস্পাতের শক্তিশালী অতিকায় স্প্রিংয়ের ওপর নির্মিত হয়। ভূমিকম্প হলে দোলনায় রাখা শিশুর মতো এগুলো দোলে কিন্তু ভেঙে বা ধসে পড়ে না। ইউরোপেও প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে বাড়িঘর নির্মিত হচ্ছে। ইউরোপের দেশগুলোতে তুষারপাত হয় বলে সেখানে বসতবাড়ি বা অন্যান্য ভবন এমনভাবে নির্মিত হয় যাতে ওগুলোর ছাদে তুষার জমতে না পারে। তুন্দ্রাঞ্চলে এস্কিমোরা বরফের ঘর বানিয়ে বসবাস করে। ‘যষ্মিন্ দেশ যদাচারঃ’। শুধু আমরাই ব্যতিক্রম। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমালয়ে বরফ গলার হার বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মতো নিম্নাঞ্চলের দেশে বন্যা এখন প্রতি বছরেরই ব্যাপার হতে পারে। তদুপরি নদী-নালা, খাল, বিল, জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে দখল হয়ে যাচ্ছে। ব্যয়বহুল বলে নদীগুলো যথাযথভাবে ড্রেজিং করা যাচ্ছে না, তাই সেগুলো অগভীর ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমদেরও সচেতন হতে হবে।

আমাদের দেশে পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক পরিবার, বিশেষত বন্যপ্রাণী ও আংশিক ফ্ল্যাশ ফ্লাড থেকে আত্মরক্ষার জন্য, কাঠের বা বাঁশের খুঁটির ওপর ঘরবাড়ি মাটি থেকে বেশ উঁচুতে নির্মাণ করা হয়। কাঠের বা বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে লোকজন এসব উঁচু ঘরে প্রবেশ করে। আমাদের বন্যাপ্রবণ দেশের প্রায় সর্বত্রই ঘরবাড়ি নির্মাণে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। পল্লী অঞ্চলের ঘরবাড়িগুলো এলাকাভেদে পাঁচ থেকে আট ফুট উঁচুতে কাঠের, বাঁশের বা কংক্রিটের খুঁটির ওপরে কাঠের বা বাঁশের মেঝেসমেত নির্মাণ করা যায়। শুকনা মৌসুমে সিঁড়ি বেয়ে এবং বন্যাকালে নৌকায় চড়ে এসব ঘরবাড়িতে প্রবেশ করা যাবে। বন্যাকালে বাড়ির আঙিনা এবং মাঠঘাট তলিয়ে গেলেও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাবে না। ঘরের বাসিন্দারা ঘরেই বসবাস করতে পারবে। বন্যাকালে বসবাসের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে বা উঁচু রাস্তায় ছুটতে হবে না। সুপেয় পানির জন্য প্রতিটি ঘরে একটি করে টিউবওয়েলেব ব্যবস্থা এবং প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য প্রতিটি ঘরে অন্তত একটি করে টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা যায়। গবাদিপশুগুলো উঁচু রাস্তায় বা নিকটবর্তী উঁচু জমিতে রাখা যেতে পারে। শুকনা মৌসুমে ওগুলো ঘরের নিচের ফাঁকা জায়গায় রাখা যেতে পারে। তবে আজকাল সবার গবাদিপশু নেই। যাদের আছে তারা এ ব্যবস্থা করতে পারে। ঘরবাড়িগুলোর নির্মাণ কৌশল এমন হতে হবে যাতে ঝড়-ঝঞ্ঝা বা ঘূর্ণিঝড়ে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উপরন্তু এসব ঘরবাড়ি নদীর তীর থেকে দূরে হওয়াই নিরাপদ।

আমি স্থপতি নই। কী কৌশলে এসব ঘরবাড়ি নির্মিত হলে ঘরের বাসিন্দারা লাভবান হবে তা স্থপতিরা ভালো বলতে পারবেন। একটি দিকনির্দেশক ধারণা দিলাম মাত্র। এর থেকে ভালো কিছু করা যায় কি না সেটাও ভেবে দেখা যেতে পারে। ঘরবাড়িগুলো নির্মাণ করা প্রকৌশলীদের কাজ। তবে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের চিন্তা-চেতনা ও বুদ্ধি অসাধারণ। যে ঘরবাড়ির কথা বলছি তা সাধারণ মানুষ নিজ উদ্যোগেই নির্মাণ করতে পারবে। ঘরবাড়ি বাঁশেরই হোক বা টিনেরই হোক সেটা উঁচু করে নির্মাণ করা তাদের পক্ষে কঠিন হবে না। আদিকাল থেকে গ্রামের ঘরমিস্ত্রিরা যেমন করে আসছে এখনো এটা তারাই করতে পারবে। তবে প্রযুক্তিটি যেহেতু নতুন, গ্রামের মিস্ত্রিদের স্বল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্মাণ কৌশলটি একটু ধরিয়ে দেয়া যেতে পারে। পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড়িরা যেমন পারছে, সমতলের লোকেরাও তা পারবে। আজকাল গ্রামে রেমিট্যান্সের বদৌলতে অনেক পাকা ঘরবাড়ি নির্মিত হচ্ছে। সেখানেও এ ব্যাপারে সচেতন করা যায়।

এ এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে অসাধ্য কিছু নয়। এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ উদ্যোগ সরকার এবং এনজিওকেই নিতে হবে। অধিকাংশ জনগণ এখন যেমন সনাতন পদ্ধতিতে পারছে নতুন পদ্ধতিতেও নিজ খরচেই তা নির্মাণ করতে পারবে। দরিদ্র পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজনে হতে পারে। সরকারের ব্যয় খুব একটা হবে না। প্রচার, জনসচেতনতা সৃষ্টি, জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ ও দরিদ্র জনগণকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেয়া, এ জাতীয় কাজে সরকারের কিছু ব্যয় হবে। তবে সেটা পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের মতো ব্যয়বহুল হবে না। বাংলাদেশের বর্তমান যে আর্থিক অবস্থা, তাতে বাংলাদেশ সরকার সহজেই তা পারবে।

অবশ্য এ ব্যবস্থা নগর অঞ্চলে আমরা বেশ কিছু দিন আগে থেকেই গ্রহণ করে আসছি। নগরের বহুতল ভবনগুলোর গ্রাউন্ড ফ্লোরটি আমরা গাড়ি রাখার জন্য রেখে দেই। উপর তলার ফ্লোরগুলো বসবাস কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা অফিসের জন্য ব্যবহার করি। গ্রামাঞ্চলে হালে যেসব দালানকোঠা নির্মিত হচ্ছে, তা শহরাঞ্চলের মতো বহুতল না হলেও, সেখানে এ ব্যবস্থাটি চালু করা যায়। এতে করে বন্যার পানি দালানের বাসিন্দাদের স্পর্শ করবে না। এ পদ্ধতিতে নির্মিত ঘরবাড়ি বা দালানকোঠা শুকনো মৌসুমে গৃহস্থের গবাদিপশু বা কৃষি সরঞ্জামাদি, যদি থাকে, নিচের ফাঁকা জায়গায় রাখা যাবে। এতে করে আলাদা স্থাপনা গড়ার ব্যয় ও স্থান সাশ্রয় হবে।

এই পদ্ধতিতে পল্লী অঞ্চলের আবাসস্থলগুলো নির্মিত হলে, বানভাসি মানুষের জন্য আলাদা আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে না। তাই সে অর্থ প্রয়োজনে এ খাতে ব্যয় করা যাবে। পল্লীর লোকদের বন্যাকালে পানিতে ভাসতে হবে না। গ্রামের স্কুল এবং রাস্তাঘাট বন্যাকালে বানভাসি মানুষ সাময়িক আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠান এবং রাস্তাঘাটগুলো পরবর্তীকালে সহজে ব্যবহারযোগ্য থেকে যাবে, আর্থিক সাশ্রয় হবে। একই সাথে বানভাসিদের আপদকালীন আশ্রয়ের জন্য হাহাকার করতে হবে না।
১৯৫৪ সালের বন্যার কথা মনে আছে। ঘরের দুয়ারে বসে ছিপ-বড়শি দিয়ে উঠানের পানিতে মাছ ধরেছি। তখন উজানে ফারাক্কাসহ ৫৪টি নদীতে বাঁধ ছিল না। এসব বাঁধ না থাকায় নদীগুলো সর্বদাই খরস্রোতা থাকত। এ কারণে নদীর তলদেশে পলি জমতো কম, ফলে নদীগুলো ভরাট হতো না। তাই বন্যা বর্তমানের মতো প্রকট হতো না। এখন ভারত, চীন, নেপাল কোনো দেশেই বন্যার কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব দেশ যৌথ উদ্যোগে হিমালয় অঞ্চলে জলাধার নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। এসব তাত্ত্বিক আলোচনায় বিশেষ ফল হচ্ছে না। আমাদেরকে প্র্যাকটিক্যাল হতে হবে।

ভারত-চীন সম্পর্কের কথা আমরা জানি। তাই বলব- ‘ন’ মণ ঘিও হবে না, রাধাও নাচবে না’। আমাদেরকে বন্যার সাথেই বসবাস করতে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। এতদসত্ত্বেও আমাদের দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষকরা কেন যে এতকাল ভুগেও গৃহনির্মাণ কৌশল বদলালো না, তা ভেবে বিস্মিত হই। যে পন্থা অবলম্বন করে তারা বারবার মার খাচ্ছে, আবার সেই পন্থায়ই ফিরে যাচ্ছে। এখন তাদের বোঝাতে হবে- ‘তোমাদের ঘরবাড়িগুলো ভেঙে উঁচু করে গড়ো।’ যথা শীঘ্রই গড়ো। নইলে দুর্ভোগ কোনো দিনই শেষ হবে না।

একটি স্বাধীন দেশে প্রায় প্রতি বছর বানভাসি মানুষের হাহাকার মেনে নেয়া যায় না। এই মানবিক কার্যক্রম সরকার জরুরি ভিত্তিতে হাতে নেয়া প্রয়োজন। এ কাজে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচার ও জনসচেতন করার কাজে এবং দরিদ্র জনগণকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায়তা দেয়া বাবদ অল্পই খরচ হবে। এত কম খরচে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের কথাও ভাবা যাবে না। শুনেছিলাম গ্রামে বহুতল ভবন গড়ে কৃষি জমি সাশ্রয় করার কথা। সেটা দূরের বিলাসিতা। আপাতত গ্রামের ঘরবাড়িগুলো উঁচু করার কাজই হাতে নেয়া হোক। আমরা আশা করতেই পারি, একটি স্বাধীন দেশের সরকার ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে প্রায় প্রতি বছরের বন্যার অভিশাপ থেকে রক্ষার জন্য গ্রামাঞ্চলে গৃহ নির্মাণের এহেন কৌশলগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেবে। এটি দেশব্যাপী মানব-উন্নয়নেরও একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ যা বর্তমানে উপেক্ষিত হচ্ছে। শহরাঞ্চলে ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল নির্মাণের চেয়ে গ্রামের যে কৃষক আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যের জোগান দেয় এবং দেশের অর্থনীতিকে খাড়া রেখেছে, তাদের দুর্দশা লাঘব করা অনেক বেশি জরুরি।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং ভাইস প্রিন্সিপাল, মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877