মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু, যা বলছে প্রধান দুই দল ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সহকারী কমিশনার বদলি বিএসএফের পোশাকে সীমান্তে মাদকের কারবার করতেন রেন্টু কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ ভারতে চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মিরে কেমন ভোট হলো বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা উচিত : মির্জা ফখরুল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা বেআইনি : হাইকোর্ট আমার পুরো ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল : মনোজ মানবদেহে প্রথম ব্রেইনচিপ ইমপ্লান্টে ধাক্কা খেলো নিউরালিংক ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
কনস্টেবল ধর্ষণ : সৈয়দপুরের ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

কনস্টেবল ধর্ষণ : সৈয়দপুরের ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

স্বদেশ ডেস্ক:

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পুলিশকে ধর্ষণের অভিযোগে ওসি আবু নাসের রায়হানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল নীলফামারীর সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী পুলিশ প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর পুলিশ কনস্টেবল পদে নীলফামারী পুলিশ লাইনে যোগদান করেন। এর পর থেকেই নীলফামারী রিজার্ভ অফিস ইন্সপেক্টর (বর্তমানে বরিশাল ডিআইজি অফিসে ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত) আবু নাসের রায়হান প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। ভিকটিম তার অধস্তন কর্মচারী হওয়ায় মুখ বুঝে তা সহ্য করে যাচ্ছিলেন। এদিকে আবু নাসের রায়হানের স্ত্রী নীলফামারী জর্জ কোর্টের পেশকার হওয়ায় তিনি কর্মস্থলে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অশ্লীল

ছবি দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিতেন আবু নাসের। ২০১৬ সাল থেকে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই কনস্টেবলের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, এ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পূর্বের স্বামীকে তালাক প্রদানে বাধ্য করেন আবু নাসের। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর দীর্ঘদিনেও বিয়ে না করায় চাপ দিলে একদিন হুজুর প্রকৃতির একজন লোক ডেকে এনে সুরা-কালাম পড়িয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু কাজীর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করার কথা বললে আবু রায়হান বলেন, আমরা তো আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছি, রেজিস্ট্রির প্রয়োজন নেই।

বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চাপ দিলে আবু নাসের কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং উল্টো তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে কৌশলে ভিকটিমকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পুলিশ লাইনে এবং নিজে বরিশাল ডিআইজি অফিসে বদলি হয়ে যান। পরে সম্পর্ককে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন। এতে ভিকটিম বিপাকে পড়েন। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রথমে বরিশালের ডিআইজি বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন এবং নিজ জেলা ঠাকুরগাঁয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালের ডিআইজি তদন্তের নির্দেশ দিলে গতকাল সৈয়দপুর সার্কেল কার্যালয়ে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877