স্বদেশ ডেস্ক:

ছাত্রীকে ধর্ষণকারী কুষ্টিয়ার সেই মাদ্রাসাসুপার গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া যৌন হয়রানির মামলায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় দুই শিক্ষক, রাউজানের শিশু ধর্ষণের মামলায় এক বৃদ্ধ, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি এবং দিনাজপুরের বিরলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুষ্টিয়া : অষ্টম শ্রেণির এক আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমাবর রাত সাড়ে ৯টায় পোড়াদহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এর আগে ওইদিন বিকালে মিরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, গতকাল আব্দুল কাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠান।

শরণখোলা (বাগেরহাট) : উপজেলা সদরে অবস্থিত রায়েন্দা সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের (ভোকেশনাল শাখার) দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. শাহিনুজ্জামান ও প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান আহম্মেদ গাজী। ছাত্রীর মা গত ২৩ জানুয়ারি শরণখোলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় সোমবার দুপুরে দুই শিক্ষক আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. নুরে আলম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাউজান (চট্টগ্রাম) : রাউজানের আবুরখীল নন্দনকানন গ্রামে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাধন বড়ুয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল

দুপুরে রাউজান থানা থেকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই দিন সকালে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গত ৩ অক্টোবর বিকালে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের আবুরখীল গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

কিশোরগঞ্জ : হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক স্কুলছাত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা। উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুনছুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দিনাজপুর : বিরলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাকারী এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত আরও ১ জন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকায় ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে গত ৩ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার রাণীপুকুর এলাকার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদ ওরফে বছিরের পুত্র লিটন হোসেন ও কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনের পুত্র মো. মোস্তফা ওরফে ধলু। তাদের সহায়তা করেন একই ইউনিয়নের মো. সুমনের কন্যা মোছা. শানু।