স্বদেশ ডেস্ক: তার নাম মো. হোসেন আলী। সে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দেশ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পরিচয় দেয়। গলায় ঝোলানো সংবাদপত্রের আইডি কার্ড। সঙ্গে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা। দেখলে মনে হবে সে একজন সংবাদকর্মী। যে বাড়িতে ডাকাতি করবে সে বাড়িতে সাংবাদিক পরিচয়ে দিনের বেলায় র্যাকি করে আসত। আসলে সে একজন ডাকাত সর্দার। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আটিপাড়া। কারও যাতে সন্দেহ না হয় তাই এমন পেশা বেছে নিয়েছে। এমন একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য কার্ডও দেখিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বারদি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মো হোসেন আলী। হোসেন একজন পেশাদার ডাকাত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। ২৭ জুন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউসার আহম্মেদের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে অভিনব কৌশলে ডাকাতির কথা স্বীকার করে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেফতার ডাকাত সর্দার মো হোসেন আলী চালাক প্রকৃতির। সে ডাকাতির পাশাপাশি এমন একটি পেশা বেছে নিয়েছে, যে পেশায় কাজ করলে কেউ যেন তাকে অপরাধী হিসেবে বুঝতে না পারে। সে সাংবাদিকতার আড়ালে ডাকাত। ডাকাতি করার নতুন কৌশল হিসেবে টাকার বিনিময় দৈনিক দেশ পত্রিকার একটি আইডি কার্ড নিয়েছে। ডাকাত হোসেন আলী ডাকাতি করার আগে অভিনব কৌশল হিসেবে পত্রিকার আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে, হাতে ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোথায়, কোন বাড়িতে ডাকাতি করলে অনেক টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যাবে সে সন্ধান করত। পরে ডাকাত সর্দার হোসেন আলী রাতের বেলায় ডাকাত দল নিয়ে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে বের হতো। তখনও তার গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো থাকত। রাস্তায় কোনো পুলিশ গতিরোধ করলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ডাকাতদের বাঁচিয়ে নিত। ডাকাতি শেষে ফেরার পথেও গাড়ির সামনে গলায় সাংবাদিক লেখা আইডি কার্ডটি ঝুলিয়ে বসে থাকত ডাকাত সর্দার মো. হোসেন আলী। ডাকাতদের তথ্যের ভিত্তিতে বারদি এলাকা থেকে ডাকাত সর্দার হোসেন আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেশ পত্রিকার সরবরাহকৃত একটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পর এসব চাঞ্চল্যকার তথ্য বেরিয়ে আসে তার কাছ থেকে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।