শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশ মিশনে হামলা, হিন্দু সংগঠনটির বয়স ১ সপ্তাহ! আজ থেকে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব? তারেক রহমানের দেশে ফেরা-আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও আছে রাজনৈতিক সমীকরণ রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থেকে বেরিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন : হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ধর্ম ও মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য : প্রধান উপদেষ্টা
একদল কোটিপতি মার্কিন সম্পদে কর দিতে চান

একদল কোটিপতি মার্কিন সম্পদে কর দিতে চান

‍স্বদেশ রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী কয়েকজন সম্পদের ওপর কর দেওয়ার বিষয়টি ফিরিয়ে আনতে দেশটির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সামাজিক বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য করারোপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। বিনিয়োগকারী জর্জ সরোস, ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজ ও কোটিপতি চার্লি মুঙ্গারের মেয়ে মলি মুঙ্গার এক চিঠিতে এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁদের অতিরিক্ত সম্পদের ওপর কর বসানো যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্ব।

ধনীদের এই দলটি বলেছে, তারা কোনো দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। খোলা চিঠিতে ধনীরা বলেন, সম্পদের কর তাঁদের জলবায়ু সংকট কাটাতে, অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিতে সাহায্য করবে। এটি গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে জোরদার করবে। সম্পদের করের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ তাঁদের দেশের প্রয়োজন মেটাবে।

১৮ জন ধনীর মধ্যে ওয়াল্ট ডিজনির উত্তরসূরি ও হায়াত হোটেলের কর্ণধার রয়েছেন। অনেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও সম্পদের বৈষম্য কমাতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে চান। চিঠিতে এও বলা হয়, কোটিপতি ওয়ারেন বাফেট বলেছেন, তিনি তাঁর সহকারীর চেয়েও কম কর দেন।

ধনীদের এই দলটি নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করেনি। তবে ধনীরা সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, যাঁর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কর আরোপের বিষয়ে তাঁর দেওয়া প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন। সিনেটর ওয়ারেন পাঁচ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের সম্পদের ওপর করারোপের প্রস্তাব দিয়েছেন। ৭৫ হাজার সম্পদশালী পরিবারের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ওয়ারেন অনুমান করে বলেন, আগামী ১০ বছরে এই সম্পদ ২ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন হবে। চিঠিতে যাঁদের অনেক সম্পদ, তাঁদের ওপর উচ্চ করারোপের প্রতি সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো–অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের তথ্যানুসারে ৪০টি দেশের মধ্যে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করে রাখে—এমন ষষ্ঠ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। চিঠিতে বলা হয়, বেশি ধনীদের সম্পদের ওপর কর বসালে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করে রাখার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯৯৯ সালে একবারের জন্য সম্পদের ওপর কর বসানোর প্রস্তাব দেন। সেটি তাঁর নির্বাচনী প্রচারনীতির অংশ ছিল না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877