শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফোর্বসের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিইডি বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ বহাল ফের আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় উপজেলা নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন : রিজভী মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক
স্মার্টফোন, ট্যাবে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি

স্মার্টফোন, ট্যাবে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি

স্বদেশ ডেস্ক:

এই করোনাকালে বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। শিশুরাও। সময় কাটতে চাচ্ছে না কারোর। ফলে বাবা-মা জেনে অথবা না জেনে শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন নিজের স্মার্টফোন অথবা ট্যাব, যা শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

কী ধরনের ক্ষতি : শিশুটি চঞ্চল, খেতে চায় না, কথা শোনে না, ঘুমাতে চায় না, এটা-ওটা ধরে, জিনিস নষ্ট করেÑ হাজারো অভিযোগ। মুক্তির উপায়? শিশু খেতে চায় না? টিভিতে কার্টুন ছেড়ে শিশুকে বসিয়ে দাও। শিশু মুগ্ধ হয়ে কার্টুন দেখবে। এ সুযোগে শিশুর মুখে খাবার চালান হতে থাকবে। কার্টুন শেষ হওয়ার আগেই খাওয়া শেষ। সবার স্বস্তি। খেলার সঙ্গী বা জায়গার অভাবে যখন বিছানা, সোফা ইত্যাদি খেলার মাঠ বানিয়ে দাপাদাপি করে, তখন সবাই বিরক্ত হন। সমাধান? শিশুর হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব ইত্যাদি। যতক্ষণ শিশুটি বাটন টেপাটিপিতে ব্যস্ত, ততক্ষণ বাসায় স্বস্তি। এভাবেই চলবে দিন, মাস, বছর। শিশুটি এক সময় পুরোপুরি স্মার্টফোন বা ট্যাবে বিভিন্ন কার্টুন বা খেলায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ফলাফল, শিশুটি ক্রমে বেশি চঞ্চল হয়ে উঠবে, মেজাজ খিটমিটে হয়ে উঠবে, ক্ষুধামন্দা, ঘুমের অনিয়ম, আত্মীয়-স্বজন বা অন্য শিশুর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে অনীহা প্রকাশ, অল্প শাসনে অতিমাত্রায় বিরক্ত প্রকাশ বা অবাধ্যতা প্রদর্শন এমনকি জিনিসপত্র ভাঙচুর করবে।

চোখে প্রভাব : চোখ লাল হয়ে যেতে পারে; চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, সঙ্গে চোখ থেকে পানি ঝরতে দেখা যায়; ঘন ঘন চোখের পলক ফেলে; কখনো কখনো মাথাব্যথা ও চোখব্যথা হয়। শিশু অনেক সময় ঝাপসা দেখার কথা বলে। চোখ পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুর কোনো দৃষ্টি সমস্যা নেই। এ অবস্থাটির নাম অকুলার স্ট্রেস।

করণীয় : চোখের জন্য এক ধরনের লুব্রিকেন্ট ড্রপ বা আর্টিফিসিয়াল টিয়ার পাওয়া যায়। এগুলো দিনে ৩ থেকে ৪ বার এক ফোঁটা করে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে অবশ্যই চশমা নিতে হবে। সাময়িকভাবে হলেও মোবাইল বা ট্যাব বন্ধ রাখতে হবে। ঘুমের ব্যাপারে বেশি যতœ নিতে হবে। ট্যাব বা মোবাইল থেকে শিশুদের দূরে রাখতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

মনে রাখতে হবে, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে বর্তমান শিশুর বেড়ে ওঠার গল্পই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এক পূর্ণাঙ্গ মানুষের গল্প। তাই যত কঠিন সময়ই আমরা পার করি না কেন, নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877