ধ্বংসের দূত আম্ফা
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
তুমি আসবে জানি কখন আসছো তুমি বলোনি আমাদের।
আজ, কাল,পরশু কোন এক সময় চলে আসবে হয়তো।
বিভৎস , ভয়ানক, সংকেত বার্তা জেনেছি কিন্তু
সর্বনাশী তুমি রাক্ষসী।
তুমি আসবে বলে আকাশে কালিমারেখা।
কালোমেঘে পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে গেছে প্রায়।
তুমি আসবে বলে কারো মন ভালো নেই।
মনের মাঝে শুধু ভয়।
আমি আমরা তোমার প্রতীক্ষায় আছি । যে প্রতীক্ষায় শুধু ভয়, তান্ডব, ধ্বংস লীলা।
তোমার আগমনের পদধ্বনি অলুক্ষণে।
করোনা আর তুমি কুৎসিত , তোমরা ধ্বংস যঞ্জের প্রতিক,তুমি করোনার অনুসারী।
তোমরা ধ্বংসের যুগল দুটি ভাই।
তোমার জন্ম লগ্নতেই ধ্বংসের প্রভাব। তোমার নামের কত বাহার।আম্ফান তোমার নাম।
আম + ফান —-তার মানে আমের কৌতুক। তুমি কী ধ্বংসের কৌতুক নিয়েই আমাদের উপর তান্ডব লীলা চালাতে আসছো?
তোমাকে বুঝার কী কোন যো আছে?
তুমি এখন রণরঙ্গিণী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঊর্ধ্বগতিতে ধেয়ে ধেয়ে তান্ডব করে যাচ্ছো।
তোমার সাথে নীরবে মনের ভাব অনুভব বিনিময় করার সে সুযোগটুকুও নেই। তুমি আসছো একেবারে রণাঙ্গনের দূত হয়ে।
বিপদ সংকেতের ধ্বনি দিতে দিতে উন্মাদের মতো পশ্চিমবঙ্গ লন্ড ভন্ড করে দিয়েছো। এখনও করেই যাচ্ছো।
মানুষকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করছো।
সর্বনাশী ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে আরো কত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবে, ঘর ছাড়া করবে জানিনা।
তোমাকে শান্ত করার মতো আর কেউ নেই।
যিনি জন্ম দিয়েছেন তিনি যদি সহায় হোন তাহলেই তুমি শান্ত হবে।
এই কুকর্ম থেকে বেরিয়ে যাবে।
আর নয়তো এই কুদৃষ্টি থেকে আমদেরও মনে হয় রেহাই নেই।
ইতিমধ্যেও তুমি হয়তো আরো উর্দ্ধশ্বাসে কোন কোন স্থানে আঘাত হেনেছো।
ছয়টি ঋতুতে কত বৈচিত্র ছিলো, কত আনন্দ উপভোগ ছিলো।
প্রকৃতি আর মানুষের মাঝে কত প্রগাঢ় ভালোবাসা ছিলো।
কিন্তু আমরা এতই পাপ করেছি
যার জন্য প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে এই বৈরীভাব বিদ্যমান।
আম্ফান , করোনা তোমরা পৃথিবীর ধ্বংসের দূত।আমাদেরকে এতো তাড়াতাড়ি মেরোনা।
এখনও যে জীবনের সাধ রয়েছে যে বাকি।