স্বদেশ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় নোঙর করা একটি জাহাজের কন্টেইনার থেকে সাড়ে ১৬ টন কোকেন জব্দ করা হয়। একে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আটক অন্যতম বড় মাদকের চালান বলে ধারনা করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলে খবর মিলেছে। জব্দ কোকেনের বাজারমূল্য একশ কোটি ডলারের বেশি হবে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয়, অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে সোমবার প্যাকার মেরিন টার্মিনালে অবস্থান করা কার্গো জাহাজ এমএসসি গায়ানেতে অভিযান চালিয়ে ৭টি কন্টেইনার থেকে এ বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করে বলে ফিলাডেলফিয়ার ফেডারেল আদালতে দেয়া এক অভিযোগে জানানো হয়েছে। কোকেন জব্দের পাশাপাশি জাহাজটির দুই ক্রুকেও আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইভান দুরাসেভিচ ও ফোনোফাবায়ে তিয়াসাগা নামের ওই দুই ক্রু সমুদ্রযাত্রায় কন্টেইনারে কোকেন ভরতে সাহায্য করার কথা স্বীকারও করেছেন। “এ পরিমাণ কোকেন মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে,” ফিলাডেলফিয়াভিত্তিক মার্কিন অ্যাটর্নি উইলিয়াম ম্যাকসোয়াইন এ কথা জানান। ফিলাডেলফিয়ায় নোঙরের আগে এমএসসি গায়ানে চিলি, পেরু, কলম্বিয়া ও পানামা হয়ে এসেছে বলে নৌযানটি। জাহাজটির স্বত্তাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেডিটেরানিয়ান শিপিং কোম্পানি এক বিবৃতিতে কোকেন জব্দের ঘটনাটি অবগত আছে বলে জানিয়েছে। অবৈধ মাদক চোরাচালান রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার ইতিহাস তাদের আছে বলেও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় কোকেনের চালান আটকের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে। সেবার ক্যালিফোর্নিয়ায় মিলেছিল ২১ টন কোকেন। একই বছর মার্কিন কর্তৃপক্ষ টেক্সাস থেকেও ১৪ টন কোকেন জব্দ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রই কোকেনের সবচেয়ে বড় ভোক্তা; দেশটিতে অবৈধ মাদকের মধ্যে এর চাহিদাই সর্বাধিক বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে।“এক দশকের মধ্যে এই সময়েই যুক্তরাষ্ট্রে কোকেনের ব্যবহার ও সহজলভ্যতার উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে,” ২০১৭ সালের বৈশ্বিক মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্যে এমনটাই বলেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।