স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের মোকাবিলা জন্য পাকিস্তান জাতীয়ভাবে সবচেয়ে বেশি তৎপরতা দেখাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। পাকিস্তানে ডব্লিউএইচও’র প্রধান ডা. পালিথা গুণারত্নে মহিপালা দেশটির অনেকগুলো হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করে শনিবার একথা জানান। তিনি বলেন, কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তান দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তান সরকার নতুন আক্রান্তদের প্রতি পর্যবেক্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং হাসপাতালে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করেছে।
ডব্লিউএইচও’র পাকিস্তান প্রধান ডা. পালিথা গুণারত্নে মহিপালা স্থানীয় অনেকগুলো হাসপাতাল ও ল্যাব পরিদর্শন করে বলেন,‘একই সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন করোনাভাইরাসে নতুন নতুন রোগীর আক্রান্তের খবর দিচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান ভাইরাসটিকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এটি প্রশংসনীয়।’
পরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের (জেপিএমসি) নির্বাহী পরিচালক ডা. সিমিন জামালির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে ডা. মহিপালা জানান, ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যাওয়া রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের (জেপিএমসি) নেয়া পদক্ষেপ সন্তোষজনক।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি ভকেশনাল ইনস্টিটিউট এবং মাদরাসাসহ দেশটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গোটা বিশ্বকেই প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। গোটা বিশ্বই এখন কার্যত অচল। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ইতালিত এবং স্পেনে ওষুধ ও খাবারের দোকান বাদে সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই যেন থামছে না মৃত্যুর মিছিল। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩০ জন। বিশ্বের ১৫২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। সূত্র : গালফ নিউজ