স্বদেশ ডেস্ক: একদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা। অন্যদিকে সেই বিলের প্রতিবাদে অসম-ত্রিপুরায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। আর এসবের মধ্যেই ওয়াংখেড়ের বাইশ গজে উঠল তুমুল ঝড়। যাতে তছনছ হয়ে গেল ক্যারিবিয়ান শিবির। রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল ও বিরাট কোহলি- মায়াবী ইনিংস খেলে দলকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দিলেন এই তিন তারকা। যার ধারে-কাছেও পৌঁছতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ম্যাচে হারের হতাশা ভুলে শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে ঘরের মাঠে আরও একটা সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।
আইপিএলে মুম্বইয়ের জার্সিতেই নামেন কায়রন পোলার্ড। রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলেন। এ মাঠকে হাতের তালুর মতোই চেনেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। সেটাই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্লাস পয়েন্ট। মনে হয়েছিল তিরুবন্তপুরমের চেয়েও হয়তো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মুম্বইয়ে। টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাসী পোলার্ড। কিন্তু সমস্ত সমীকরণ পালটে দিল ভারতীয় টপ অর্ডার। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর হল না। ওয়াংখেড়ে পোলার্ডের যতই পরিচিত হোক না কেন, রোহিত শর্মা বুঝিয়ে দিলেন, এটা তাঁরই ঘরের মাঠ। ছটা চার ও পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৪ বলে চোখ ধাঁধানো ৭১ রান করলেন হিটম্যান। সেই সঙ্গে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০টি ওভার বাউন্ডারি মারার নজির গড়লেন। বিশ্বের তিন নম্বর তারকা হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন তিনি। যে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ক্রিস গেইল (৫৩৪) এবং দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (৪৭৬)।
রোহিতের পাশাপাশি ব্যাট হাতে বাইশ গজে ঝড় তুললেন রাহুলও। ৫৬ বলে ৯১ রান করে টি-টোয়েন্টি জায়গাটা একপ্রকার পাকাই করে ফেললেন তিনি। আর হায়দরাবাদের পর আরও একবার ম্যাজিক দেখালেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তাঁর প্রতিটি শট যেন বলে দিচ্ছিল, ‘ব্যাটিংটা এভাবে করতে হয়।’ নিজের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে দর্শকদের অনবদ্য একটা ইনিংস উপহার দিলেন। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের রেকর্ডও ঝুলিতে ভরলেন কিং কোহলি।
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আবার ফিল্ডিংয়ে হাঁটুতে চোট পান ক্যারিবিয়ান এভিন লুইস। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ফলে ওপেন করতে নামতে পারেননি তিনি। সিমনসের সঙ্গে নামেন ব্র্যান্ডন কিং। নড়বড়ে হয়ে পড়ে টপ অর্ডার। হেটমেয়ার-পোলার্ডের শত চেষ্টাও কাজে এল না। ম্যাচের আগের দিনই কোহলি দলে অতিরিক্ত নিয়মিত বোলার চাইছিলেন। তাঁর ভাবনা ফলপ্রসু হয়েছে। এদিন রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে প্রথম এগারোয় নেন মহম্মদ শামিকে। যিনি জোড়া উইকেট তুলে নেন। চাহালের বদলি কুলদীপ যাদবও পান দুটি উইকেট।