শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফোর্বসের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিইডি বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ বহাল ফের আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় উপজেলা নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন : রিজভী মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক
কর্মস্থলে বিলম্বে পৌঁছলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাটা

কর্মস্থলে বিলম্বে পৌঁছলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাটা

স্বদেশ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে হবে। এখন থেকে অননুমোদিত অনুপস্থিতি ও কর্মস্থল ত্যাগ এবং দেরিতে উপস্থিতির কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন কাটা হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ‘সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯’ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে আরও বলা হয়-এই বিধিমালা জারির পর এ সংক্রান্ত ১৯৮২ সালের এক্সিকিউটিভ ইনস্ট্রাকশন এবং ১৯৮৯ সালের এসআরও (নং-১৫৪) বিলুপ্তি হবে বলে গণ্য হবে। তবে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকলে তা এ ইনস্ট্রাকশন এবং এসআরও দিয়ে নিষ্পন্ন করা যাবে।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর আলোকে জারি করা এই নতুন বিধিমালায় বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ এবং দেরিতে কর্মস্থলে উপস্থিতির দণ্ডের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে যুক্তিসঙ্গত কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে অনুপস্থিত কর্মচারীর প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে। বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস চলাকালীন অফিস ত্যাগ করতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে এরূপ প্রতিক্ষেত্রের জন্য মুক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে।

তবে জরুরি প্রয়োজনে, কোনো সহকর্মীকে অবগত করে অফিস ত্যাগ করা যাবে। এই বিধিমালার তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত রেজিস্টারের এরূপ অবস্থানের কারণ সময় এতে উল্লেখ করতে হবে।

বিলম্বে কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে প্রতিদিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের সমপরিমাণ মূল বেতনের অর্থ কর্তন করতে পারবে।

আর অপরাধের পুনরাবৃত্তি দণ্ডে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে একাধিকবার এসব অননুমোদিত কাজ করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সর্বোচ্চ সাতদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে।

অপরাধ করলে দণ্ড পুনর্বিবেচনার সুযোগ রাখা হয়েছে বিধিমালায়। এ বিষয়ে বলা হয়েছে- এসব অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কর্তন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন।

পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়ে হাতের সংশোধন বাতিল বা বহাল রাখতে পারবে।

পুনর্বিবেচনার আবেদনের ক্ষেত্রে শুনানির সংক্ষিপ্তসার, প্রাপ্ত তথ্য এবং সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। দণ্ডের অর্থ কর্তন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মাসিক বেতন থেকে কর্তন করে আদায় করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877