বিষন্ন নগরীর বুকে
যন্ত্রণায় আড়ষ্ট মন;
এলোমেলো অগোছালো আমি,
মিলছিল না জীবনাংকের সমীকরণ।খোঁপায় রক্তজবা গুঁজে
জ্বলন্ত নক্ষত্রের মতো
কল্পপুঁথির দেশ থেকে কাছে এলে তুমি;
ধ্যানমগ্ন এই ঋষির জীবনে
বদলে গেল সুন্দরের সংজ্ঞা।ঠোঁটের কোণে বাঁকা চাঁদের মতো
লেপ্টে থাকা তোমার স্নিগ্ধ হাসিতে
শিহরিত হয় অন্তরাত্মা,
শঙ্খ চিলের ডানায় ভর করে
অবাধ্য মুগ্ধতায় ছুটতে শুরু করি
ভালোবাসার সীমাহীন পথে।আমার নিঃশব্দ জীবনে
তোমার সরব উপস্থিতি
জীবনকে আরো সতেজ করে তোলে,
পেন্সিলে আঁকা ভালোবাসার দিনগুলোতে
অষ্টপ্রহর তোমাতেই আচ্ছন্ন ছিলাম।তোমার নক্ষত্র চুম্বনে
আলোমুগ্ধ পতঙ্গের মতো
মরতেও দ্বিধা ছিলো না,
ক্রমশ যখন অদৃশ্য শেকলে
দু’জন বাধা পড়ছিলাম
তখনই,
পার্থিব জীবনের বিষে জর্জরিত
হৃদয়ে বয়ে গেল তীব্র রক্তস্রোত।এরপর…
ভালোবাসার নীলাকাশে
অন্ধকার নেমে আসে,
বসন্তের ঝরাপাতার মতো
ফ্যাঁকাশে হয় সোনালী স্বপ্ন।দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর
অবশেষে…
স্মৃতির বেলাভূমিতে উঁকি দেয়
পেন্সিলে আঁকা ভালোবাসা।