স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সাথে চার বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ক্যাবিনেট অফিস কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রায় চার বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ‘সিটি’ মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের নামও দেখা যায়।
টেলিগ্রামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল ওইসব অভিযোগ নিয়ে ৪২ বছর বয়স্কা টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তারাও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস রোববার জানায়, টিউলিপকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। যদিও টিউলিপ নিজে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মন্ত্রিসভা অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি।
টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া।
অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না।
টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে।
টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত সপ্তাহে টিউলিপ, তার মা শেখ রেহানা সিদ্দিক (৬৯), ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৭) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে গত অক্টোবরে ন্যাশনাল ক্রাইম অ্যাজেন্সির তদন্তকারীরা দুর্নীতির তদন্তে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন বলেও টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, টোরি দলের এক এমপি টিউলিপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত শুরুর জন্য পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের কাছে চিঠি লিখেছেন।
তবে লেবার পার্টি সূত্র জানায়, এ বিষয় নিয়ে টিউলিপের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। দাবিটি সম্পূর্ণ অসত্য।