রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিব গ্রেফতার বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে জোরদার হচ্ছে অভিযান আইসিউতে মুশফিক ফারহান সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি ফ্যাসিবাদের ঘৃণাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আগামী সোমবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন
নিউইয়র্কে হোটেল হয়ে যাচ্ছে অভিবাসী শেল্টার, বাড়ছে পর্যটন ব্যয়

নিউইয়র্কে হোটেল হয়ে যাচ্ছে অভিবাসী শেল্টার, বাড়ছে পর্যটন ব্যয়

স্বদেশ ডেস্ক:

নিউইয়র্ক সিটির ১২১টি হোটেলকে প্রত্যাহার করে সেগুলো অভিবাসী শেল্টারে পরিণত করা হয়েছে। এর ফলে পর্যটকদের জন্য স্থান সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে, তাদের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

অভিবাসীদের ঢল সামাল দিতে নিউইয়র্ক সিটির প্রায় ১৬ হাজার হোটেলকক্ষকে অভিবাসীদের আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর জের ধরে নগরীতে হোটেল ভাড়া রাতপ্রতি ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
রক্ষণশীল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মানহাটান ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো নিকোল গেলিনাস বলেন, ‘সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, হোটেল রুম অন্য কাজে ব্যবহার করার ফলে হোটেলের ভাড়া বাড়ছে।’
তিনি বলেন, এর ফলে মধ্য আয়ের যেসব লোক ছুটি কাটাতে নিউইয়র্ক সিটিতে আসেন, তারা পড়েছেন বিপাকে।
তিনি বলেন, ভাড়া এতই বেশি বেড়ে গেছে যে তা সামাল দেওয়া কঠিন। আর তা পর্যটন শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
নিউইয়র্ক সিটির যে ১২১,৩০০ হোটেল কক্ষকে অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, তা মোট হোটেল কক্ষের প্রায় ১৫ শতাংশ।
এখানেই শেষ নয়, কোভিড-১৯ মহামারির সময় আরো ছয় হাজার হোটেল কক্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে সমাধান দরকার বলে মনে করছেন জ্যাকব জ্যাভিটস কনভেনশন সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের ফিন্যান্স চেয়ারম্যান গ্যারি ল্যাভিন। তিনি বলেন, যে হারে ব্যয় বাড়ছে, তা চিন্তার বিষয়।
অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে পর্যটকদের সমস্যায় ফেলা হলেও বিষয়টি মধ্য মানের হোটেল শিল্পের জন্য বেশ ইতিবাচক হয়েছে। তারা তাদের করোনাকালীন আর্থিক সমস্যা কাটাতে বেশ ভালো একটি সুযোগ পেয়ে গেছেন। তাদের হোটেল কক্ষগুলোতে অভিবাসীরা থাকায় সবসময় ১০০ ভাগ ভাড়া পাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের গড়ে কক্ষপ্রতি ১৫৬ ডলার নিশ্চিত আয় হচ্ছে।
এমনকি থিয়েটার ডিস্ট্রিক্টের হালফ্যাশনের হোটেলগুলোও পর্যটকদের বদলে অভিবাসীদের থাকার জায়গা করে দিতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নগর কর্তৃপক্ষ তিন বছরের জন্য কক্ষগুলো ভাড়া নিশ্চিত করার জন্য এনওয়াইসি হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে। এজন্য ব্যয় ধরা হচ্ছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। পরিমাণটি মূল ২৭৫ মিলিয়ন ডলারের প্রায় ৫ গুণ বেশি। এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে হোটেলগুলোকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য।
অবশ্য, কেবল অভিবাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য নয়, মুদ্রাস্ফীতির কারণেও হোটেল কক্ষের ভাড়া বাড়ছে। হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সিইও বিজয় ধান্দাপানি এমন কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া প্রায় ১৮ শতাংশ অকুপেন্সি ট্যাক্সও হোটেল কক্ষের ভাড়া বাড়াতে সহায়তা করছে।
তিনি হোটেল কক্ষের ‘স্বল্পতার’ বিষয়টিও অস্বীকার করেন। তিনি জানান, হোটেলে থাকা ২০১৯ সালের পর্যায়ে এখনো ফিরে আসেনি। ২০১৯ সালে অকুপেন্সি হার যেখানে চিল ৮৯.৬ শতাংশ, সেখানে গত বছর ছিল ৮২ শতাংশ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877