স্বদেশ ডেস্ক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।
আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
মহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে অবন্তিকার মা কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দু’জনকে (আম্মান ও দ্বীন ইসলাম) আসামি করা হয়েছে।
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিদের কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কত দায়, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নজরদারি করছিল। কুমিল্লা জেলা পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা তাদের গ্রেফতার করি। তিন দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তারা এ সময়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অবন্তিকা (২৪)।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন অবন্তিকা।
অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।