রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিব গ্রেফতার বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে জোরদার হচ্ছে অভিযান আইসিউতে মুশফিক ফারহান সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি ফ্যাসিবাদের ঘৃণাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আগামী সোমবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন
ভালো বিক্রির আশায় ফুল ব্যবসায়ীরা

ভালো বিক্রির আশায় ফুল ব্যবসায়ীরা

স্বদেশ ডেস্ক:

আজ পয়লা ফাল্গুন। সঙ্গে হাজির বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে সরস্বতীপূজাও। এমনিতে ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুনে ফুলের ব্যবসা জমজমাট থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে উদ্‌যাপিত হওয়ায় বিক্রি কিছুটা কমেছে। তারপরও তাঁদের প্রত্যাশা, এবার ভালো বিক্রি হবে। যদিও গতকাল পর্যন্ত বিক্রি জমেনি। ব্যবসা কেমন হলো তা আজ দিন শেষে বোঝা যাবে।

শাহবাগে রাত-দিন মিলে আড়াই শতাধিক ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরায় ফুলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সাধারণ দিনে যে পরিমাণ ফুল বিক্রি হয়, তা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের মতো দিনে ৫ থেকে ৭ গুণ বেড়ে যায় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ ফুল ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য অনুসারে, দেশে বছরে ফুলের বাজার দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে। উৎপাদন ভালো হলে বাজারের পরিধি সে বছর বেড়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে দেশে ফুলের উৎপাদন কিছুটা কমেছে। বেড়েছে উৎপাদন খরচও। তাতে স্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে।

ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, উৎসবকেন্দ্রিক ফুলের সংখ্যায় সবচেয়ে বড় বেচাকেনা হয় একুশে ফেব্রুয়ারিতে। আর টাকার অঙ্কে বেশি বেচাকেনা হয় ভালোবাসা দিবসে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে কয়েকটি উৎসব থাকে। তাতে উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা এ সময়ে বেশ ব্যস্ত থাকেন। সারা বছরে যে সংখ্যক ফুল বেচাকেনা হয়, তার ৫ ভাগের ১ ভাগ বাণিজ্য হয় উৎসবকেন্দ্রিক।

দেশে ফুলের বড় জোগানদাতা হচ্ছেন যশোরের গদখালীর চাষিরা। সেখাকার ব্যবসায়ীরা জানান, গত তিন দিনে গদখালীতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপ পৌনে তিন কোটি, গ্লাডিওলাস এক কোটি, রজনীগন্ধা, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি ও কামিনী পাতা মিলে এক কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে।

গতকাল শাহবাগে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান ঘুরে দেখা গেল, আকারভেদে একেকটি গোলাপ ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ১০০ টাকার বেশি দামের গোলাপও আছে। সাদা, গোলাপি ও হলুদ রঙের চন্দ্রমল্লিকার দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা। ডালিয়া বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ২০ টাকায়। একেকটি রজনীগন্ধা ১০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ভালোবাসা দিবসে গোলাপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ ছাড়া রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, বোতাম ফুল ও অর্কিডের মতো ফুলের চাহিদাও থাকে।

উৎসব এলেই ফুলের দাম বেশি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করলেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তারিন ইসলাম।তিনি বলেন, অন্য সময় খোঁপার জন্য ৮০ থেকে ১০০ টাকায় ফুল কেনা যায়।পয়লা ফাগ্লুনে সেই ফুলের দাম কমপক্ষে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।না জানি আগামীকাল (আজ) কত টাকায় কিনতে হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877