স্বদেশ ডেস্ক: মোহনগঞ্জে চার বছরের এক শিশুর ভাঙা পা রেখে সুস্থ পায়ে প্লাস্টার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ওই শিশুটির সুস্থ পায়ে থাকা প্লাস্টার খুলে ভাঙা পায়ে পুনরায় প্লাস্টার করায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই শিশুটির বাবা পরিতোষ সরকার জানায়, তিনি পার্শ্ববর্তী খালিয়াজুড়ী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের বাসিন্দা। পুত্র প্রীতমের (৪) ডান পা ভেঙে গেলে তিনি তার পুত্র প্রীতমকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসারের কাছে গেলে তার ছেলে প্রীতমকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করাতে বলেন। তিনি জরুরি বিভাগে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে সেখানে কর্মরত জামাল মিয়া নামের এক এটেনডেন্সকে তার ছেলের ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করতে বলেন। পরে জামাল মিয়া শিশুটির কোন পা ভাঙা রয়েছে তা লক্ষ্য না করেই সুস্থ পায়ে প্লাস্টার করে দেন। পায়ে প্লাস্টার শেষে পরিতোষ সরকার তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
পরে ওই রাতে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে শিশু প্রীতমকে নিয়ে তার বাবা পরিতোষ মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে কর্মরত ময়না সরকার নামের এটেনডেন্সকে বিষয়টি বলার পর প্রীতমের সুস্থ পায়ের প্লাস্টার খুলে পুনরায় ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করে দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ শামছুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।