বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে

‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে

স্বদেশ ডেস্ক:

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করা হবে। তবে গল্পে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ব্র্যাকের বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করবো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করবো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি।

নওফেল বলেন, শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই যারা কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনা করছেন তাদের অন্য উদ্দেশ্য আছে। শিক্ষা কারিকুলামে রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়।

শরীফা গল্পটি নিয়ে গতবারও বিতর্ক উঠেছিল, এবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) যারা সহকর্মী আছেন তাদের সাথে আলোচনা করবো। যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেয়া হয়েছিল, কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন। সেখানে তারা দাবি করেছেন যে এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।

‘সেটা তো আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ যাদের সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে তাহলে এ গল্পের উপস্থাপনা পরিবর্তন করা যায় কি না বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করবো। তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়। আমরা পলিসি লেভেল সেটি মন্তব্য করতে চাই না।’

বর্তমানে দেশে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফার গল্প’। সম্প্রতি একটি শিক্ষা সেমিনারে ওই বইয়ের দুটি পাতা ছিঁড়ে আলোচনার জন্ম দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এমন প্রতিবাদে তাকে চাকরিও হারাতে হয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে একটি সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার একটি গল্পের (শরীফার গল্প) পাতা জনসম্মুখে ছিঁড়ে ফেলেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

এ ঘটনায় আসিফ মাহতাবকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877