শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

এশিয়ার শীর্ষ নারী ব্যবসায়ী…..

এশিয়ার শীর্ষ নারী ব্যবসায়ী…..

আরফাতুন নাবিলা: এশিয়ার শীর্ষ ২৫ ব্যবসায়ী নারীকে নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফোর্বস। এই তালিকায় উঠে এসেছে এমন নারীর পরিচয়, যারা নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের ব্যবসাকে করেছেন সমৃদ্ধ। তাদের মাঝে আছেন উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আছেন নিজেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নারীও। এই নারীদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে জানুন:Ñ
জেনি লি, ম্যানেজিং পার্টনার, জিজিভি ক্যাপিটাল, সিঙ্গাপুর: জিজিভি ক্যাপিটালের ম্যানেজিং পার্টনার, মাইডাস তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী নারী, শীর্ষ প্রযুক্তি বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোগী পুঁজিপতিদের মধ্যে অন্যতম এক নাম জেনি লি। তিনিই প্রথম নারী যিনি মাইডাস তালিকার সেরা ১০ জনের ‘ক্যাশ সিলিং’ রেকর্ড ভেঙে দেন। ২০০৫ সালে লি প্রথম চীনে আসেন বিনিয়োগকারী হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে। এ বছরই তার কর্মক্ষমতা তাকে এগিয়ে রাখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম পিটার থিল, ম্যারি মিকার, ফ্রেড উইলসন আর মার্ক এন্ড্রিসেনের চেয়ে। জেনি লি জন্মগ্রহণ করেন সিঙ্গাপুরে। হাইস্কুলে পড়ার সময় পানিতে কায়াকিংয়ে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। বিনিয়োগ নিয়ে সব সময় নতুন কিছু ভাবতেন জেনি। বিনিয়োগ বাজারে তার তৈরি কৌশলগুলো বেশ ভালোভাবেই পরিচিতি পায়। গতানুগতিক গবেষণার চেয়ে তিনি ‘যখন দেখো, তখন জানো’ বাক্যটি বেশি মেনে চলতেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, জেনি একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার হলেও তাকে মাঝেমধ্যে সাইকিয়াট্রিস্ট এমনকি ম্যারেজ কাউন্সিলর হিসেবেও কাজ করতে হয়েছে। সাংহাইয়ে থাকার সময় একজন নারীর সঙ্গে জেনিকে কথা বলতে হয়। সেই নারী ভাবতেন তার স্বামী তাকে এবং তার পরিবারকে অবহেলা করছে। জেনি তাকে বোঝান তার স্বামীকে রাতের পর রাত অফিসেই ঘুমাতে হচ্ছে কারণ তিনি তার প্রতিষ্ঠানকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চান। এমন অনেক গল্প জমা আছে জেনির ঝুলিতে। জেনির মতে, নারী বিনিয়োগকারীরা অনেক সময়ই পুরুষের তুলনায় বেশি আবেগী হয়ে পড়েন। তবে এটাকেও জেনি শক্তি হিসেবেই দেখেন। কারণ দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা তৈরির জন্য এই আবেগেরও প্রয়োজন আছে। ২০০৫ সালে চীনে যখন ক্যালিফোর্নিয়ার জিজিভির প্রথম অফিস মেনলো পার্ক স্থাপন করা হয়, তখন এমন অনেক ঘটনাই দেখতে হয় জেনিকে। জিজিভিতে থাকাকালীন তিনি বেশ বুঝেশুনেই বিনিয়োগ করতেন। সে সময় তিনি নিউ ইয়র্ক এবং হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের আটটি স্টার্ট আপ কোম্পানিকে বিনিয়োগ পেতে সহায়তা করেন। ২০১২ সালের মাইডাসের তালিকায় তিনি প্রথম উঠে আসেন ৯৪ নম্বরে। এরপর ২০১৫ সালে ধরে রাখেন দশম স্থান, সেটা সে সময় ছিল নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে শীর্ষস্থান। এই বছর তিনি আছেন ১৯তম স্থানে।
চায়নায় ড্রোন প্রতিষ্ঠাতা ইহাংকে বিনিয়োগ করেছেন জেনি। ইহাং আরও তৈরি করেছিলেন চায়নার প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি। এ ছাড়া বিনিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায় আছেন ইংরেজি শেখার অ্যাপের অপারেটর লিউলিশুও। তারা ছাড়াও স্মার্টফোন শাওমি করপোরেশন, ভিডিওর জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অপারেটর ওয়াই ওয়াই (ণণ), দ্রতগতির ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির প্রতিষ্ঠান নিলু টেকনোলজিস এবং তথ্য প্রদানকারী কেন্দ্র ২১ ভিয়ানেটকেও বিনিয়োগ করেছেন জেনি।
নানা জায়গায় বিনিয়োগের এই সিদ্ধান্ত জেনিকে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলেই মানেন তিনি। আর এর জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান চীনের টেকনোলজি বাজারকে, যারা সব সময় নতুন নতুন জিনিস আনতে ইচ্ছুক। ‘তাংডু’ নামের একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ, যার সাহায্যে বড়রা নাচ শিখতে পারেন, সেখানেও বিনিয়োগ করেছেন জেনি। তিনি চেয়েছিলেন এই অ্যাপের সাহায্যে চাইনিজ নারী-পুরুষ নাচ শিখুক আর জনসম্মুখে অন্তত ঘণ্টাখানেক নাচতে পারুক। ‘তাংডু’-এর ইংরেজি অর্থ ‘জেলি বিন’। ২০১৫ সালে বেইজিংয়ের জিয়াওটাং টেকনোলজি এই নাচের অ্যাপটি তৈরি করে। এখানে বিভিন্ন ধরনের নাচের টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। যেমন: চাইনিজ ফোক ড্যান্স, জাজ, বলরুম এমনকি হিপ-হপ পর্যন্ত। এত সাফল্যের পরও জেনি স্বীকার করেন চীনের টেকনোলজিক্যাল সেক্টরে বেশ কিছু ব্যাপারে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীনের জিজিভি টিম ‘বাইটড্যান্স’-এর প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিংয়ের একটি নতুন প্রজেক্ট ‘জিনরি টওটিয়াও’ সম্পর্কে জানতে পারে। এটি মূলত সংবাদের জন্য একটি অ্যাপ ছিল। কিন্তু তারা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন যে এই স্টার্ট আপে তারা বিনিয়োগ করবেন না। তারা ভেবেছিলেন বিজ্ঞাপনসমৃদ্ধ এই বিজনেসটি চায়নার বাজারে খুব একটা জনপ্রিয়তা পাবে না। কিন্তু তারা ভুল ভেবে ছিলেন। এই কথা অকপটেই স্বীকার করেন জেনি। বেইজিংয়ের এই ‘বাইটড্যান্স’ এখন নানা ধরনের আন্তর্জাতিক কনটেন্ট দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। আর এর সর্বাধিক খ্যাতি এসেছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘টিকটক’ দিয়ে। তবে ২০১৭ সালে জিজিভি বাইটড্যান্সের সঙ্গে যুক্ত হয়, যখন বাইটড্যান্স কারাওকে অ্যাপের ‘মিউজিকাল ডট লি’র সঙ্গে যুক্ত হয়।
জিজিভি নতুন অর্থায়নে ১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করেছে, যা গত বছরের বৃহত্তম বিশ্বব্যাপী তহবিল সংগ্রহের অন্যতম বৃহত্তম প্রচেষ্টা, যা চীন এবং মার্কিন উভয় বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ১৩টি তহবিল পরিচালনা করতে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি যে চারটি সেক্টরের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, সেগুলো হলোÑ কনজিউমার অ্যান্ড নিউ রিটেইল, ইন্টারনেট সার্ভিস এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, বিজনেস এই ক্লাউড সার্ভিস এবং কাটিং এজ টেকনোলজি।
নিউইয়র্কের ইথাকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন জেনি লি। তিনি উদ্যোক্তাবিষয়ক কোর্সও করেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষে, লি সিঙ্গাপুর ফিরে আসেন এবং এসটিই অ্যারোস্পেসে চার বছর কাজ করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাজ্যের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কেলোগ স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ ডিগ্রি নেন। ২০০১ সালে, হংকংয়ে গিয়ে মর্গান স্ট্যানলির সঙ্গে কাজ করেন তিনি। পরের বছর, জাপানিজ প্রতিষ্ঠান ‘জাফকো এশিয়া’তে তিনি জয়েন করেন। আর এরপরই ২০০৫ সালে জিজিভির ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে যুক্ত হন। জেনি লি মনে করতেন সবারই টেকনোলজি এবং ফাইন্যান্স জানা জরুরি তবে একজন ভালো বিনিয়োগকারী হতে হলে এমবিএটাও থাকা আবশ্যক।
ফাল্গুনী নায়ার, প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, নাইকা: ধরুন, আপনার জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। সংসার জীবন, ভালো একটা চাকরি, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। যে চাকরি আপনি করছেন সেটি শুধু বেতনের দিক থেকেই নয়, সম্মানও পাচ্ছেন যথেষ্ট। চাকরিজীবন শেষ হলে বেশ ভালো একটা অবসরজীবন। একদম নিশ্চিন্ত। এই নিশ্চিন্ত নির্ভাবনার জীবন ছেড়ে হুট করে আপনি ব্যবসায় জড়াতে চাইবেন? যেখানে লস হলে পুষিয়ে নেওয়া নাও যেতে পারে? সবাই না চাইলেও ভারতের ফাল্গুনী নায়ার চেয়েছিলেন। আর তিনি করেও দেখিয়েছেন এমন এক দুঃসাহসিক কাজ। ৫০ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ‘নাইকা’। কোটাক মাহিন্দ্র গ্রুপে প্রায় ২০ বছর বিনিয়োগকারী এবং মার্চেন্ট হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন ফাল্গুনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর, তাকে বিভাগীয় প্রধান করা হয়। ২০০৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানের অর্থ সাশ্রয়কারী উদ্যোগের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত হন।
২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ‘আদর্শ’ সেই জীবন ছেড়ে ফাল্গুনী নায়ার নিজের পরিচয় দেন ‘নাইকা’-এর সিইও হিসেবে। সে সময় সবাই তাকে পাগল বলেই ধরে নিয়েছিলেন! যে সময় মানুষ তাকে নিয়ে এমনটি ভাবত তিনি তখন খেয়াল করছিলেন ভারতের উঠতি অনলাইন মার্কেটকে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন খুব দ্রুত ভারতে এই অনলাইন বিস্তার করবে। মেকআপের প্রতি তার ভালোবাসা আর অনলাইনের এই উঠতি অগ্রগতি তাকে সাহস দিয়েছিল ‘নাইকা’কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ইউটিভির রনি স্ক্রিউলা আর পিভিআর সিনেমার অজয় বিজলিকে দেখে দারুণ অনুপ্রাণিত হন ফাল্গুনী। তিনি তার জন্মস্থান মুম্বাইতেই নাইকার হেডকোয়ার্টার শুরু করেন। বাবা ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর সেখান থেকেই ফাল্গুনী বুঝেছিলেন ব্যবসা তার রক্তে মিশে আছে। স্টক মার্কেট আর ট্রেড ছিল তার বাড়িতে প্রায় সব সময়ের আলোচনা। আর ফাল্গুনী ছিলেন গুজরাটি। এটিও তাকে কাজের জন্য বেশ সহায়তা করে।
ভাবনা আর স্বপ্ন দুটোই মনের মধ্যে বড় হচ্ছিল ফাল্গুনীর। তিনি শুধু সুযোগ খুঁজছিলেন কবে কখন একটু অবসর পাওয়া যাবে আর তিনি শুরু করবেন নাইকার কাজ। সুযোগ অবশেষে এলো তার ৫০ বছর বয়সে যখন তার দুই যমজ সন্তান অঙ্কিত আর অদ্বিতা লেখাপড়ার জন্য যুক্তরাজ্য চলে যায়।
সে সময় সবকিছু ঠিকঠাক চলাকালীন তিনি কোটাক ছেড়ে দেন। এক সাক্ষাৎকারে ফাল্গুনী বলেছিলেন, ‘আমি নতুন বিষয় জানতে ভালোবাসি। আমি হয়তো খুব ভালো সাঁতারু নই কিন্তু প্রথমে লাফ দেওয়াটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি আমি। হতে পারে এতে আমার পা ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু এটাকে আমি তেমন গুরুত্ব দিই না।’ মেকআপ ভালোবাসলেও ব্যস্ততার কারণে নিজেই করার সময় পান না ফাল্গুনী। অবশ্য এ নিয়ে তার আক্ষেপও নেই তেমন। শুধু একটা জেনারেশন মেকআপ লাগাবে আর আরেক জেনারেশন নয়Ñএমন দূরত্ব দূর করতে তিনি তৈরি করেছেন ৮৫০ টিরও বেশি ব্র্যান্ড আর ৩৫,০০০ পণ্য। ভারতের বিভিন্ন শহরে তাদের ১৭টি দোকানও রয়েছে। দোকানের দুটি ধরন আছে। নাইকা লাক্স আর নাইকা অন ট্রেন্ড। লাক্সের রয়েছে নাইকার নিজস্ব পণ্যসহ ভারতীয় আর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্য। অন ট্রেন্ডে থাকে জনপ্রিয় সব মার্কেটের পণ্য।
অনলাইনে দারুণ প্রভাব বিস্তার করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান গ্রাহক ২২-৩৫ বছর বয়সীরা। এ ছাড়া গোসল এবং শরীরের যতেœর নানা পণ্য নিয়ে নাইকা হাজির হয় ২০১৬ সালে। নিজস্ব মডেল দিয়ে কাজ করানোর জন্য নাইকার ওয়্যার হাউজ রয়েছে মুম্বাই, নিউ দিল্লি আর বেঙ্গালুরুতে। নাইকার সঙ্গে যুক্ত আছে বিখ্যাত ব্র্যান্ড কায়া স্কিন ক্লিনিক, ল্যাকমি, লরিয়াল প্যারিস এবং আরও অনেকে।
মার্কেটে ফাল্গুনী নায়ারের নাইকাকে এখন সবাই একনামেই চেনে। নাইকাকে ফাল্গুনী রূপ দিয়েছেন ইচ্ছার বাস্তব রূপে। ‘নাইকা’ মূলত ‘নায়িকা’ শব্দটির একটি প্রতিফলিত রূপ। প্রত্যেকের জীবনে তিনিই নায়িকা এমন ভাবধারাকে সঙ্গী মেনে নারীকে সৌন্দর্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেই নাইকার আগমন।
আনিতা ডং, প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান ডিজাইনার, হাউজ অব আনিতা ডং, ভারত: ১৯৯৫ সালে বোন মিনা সেহরাকে নিয়ে ডং তার ফ্যাশন সাম্রাজ্য শুরু করেন। সে সময় তারা মুম্বাইয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্টে মাত্র দুটি সেলাই মেশিন দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তাদের মরিশাস থেকে ম্যানহাটন পর্যন্ত ২৭২টি দোকান রয়েছে। তাদের ফ্যাশনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করে যেকোনো পোশাকই। ডংয়ের ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন অনেক বিখ্যাত সেলিব্রিটিরাই। তাদের মধ্যে ডাচেস অফ ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন এবং কানাডিয়ান ফার্স্ট লেডি সোফি গ্রেগর ট্রুডুর নাম না বললেই নয়! সম্প্রতি ডং নাম লিখিয়েছেন বিনিয়োগকারীর তালিকায়। নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জেনারেল আটলান্টিকে তার ৪০ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে।
স্মিতা জাতিয়া, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, হার্ডক্যাসেল রেস্টুরেন্ট, ভারত: স্মিতা একজন কট্টর নিরামিশভোজী হয়েও ম্যাকডোনাল্ডের ওয়েস্টার্ন আর সাউথ ইন্ডিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল অবস্থা সামলেছেন বেশ অনেক দিন ধরেই। পরে তিনি চালু করেন হার্ডক্যাসেল রেস্টুরেন্ট। যেটি ওয়েস্টলাইফ ডেভেলপমেন্টের অন্তর্ভুক্ত। মার্চ মাসের ৩১ তারিখ নাগাদ এই প্রতিষ্ঠানের লাভ তিন গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে, যেখানে বিক্রি বৃদ্ধি পায় ২৩ শতাংশ অর্থাৎ ১৯৬ মিলিয়ন ডলার।
১৯৯৬ সালে ভারতে প্রবেশের পর থেকেই ম্যাকডোনাল্ড টার্গেট করেছিল সেখানে উঠতি মধ্যবিত্ত পরিবারদের। তাদের ৩০০ দোকানে অর্ধেক মেন্যুই ছিল নিরামিষাশী। যেমন : ম্যাক আলু টিক্কি বার্গার, আলু-শিমের ঝালমিশ্রণ। জাতিয়ার ইচ্ছা আছে ২০২২ সাল নাগাদ আরও ১০০টি দোকান চালু করার। তিনি বলেন, ‘মার্কেট দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় যদি আপনি নিজেকে সমৃদ্ধ না করেন, তবে আপনি পিছিয়েই থাকবেন।’
ফোর্বসের শীর্ষ ব্যবসায়ী নারীদের তালিকায় আরও আছেন ঝেনফান্ড নামক প্রতিষ্ঠানের সিইও ৩৭ বছর বয়সী আনা ফাং, ইন্দোনেশিয়ার এক্সিয়াটা প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর ডিয়ান শীষওয়ারিনি, ভিয়েতনামের ভিয়েত জেট অ্যাভিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ৪৯ বছর বয়সী নুইন থাই ফুং থাও, সাউথ কোরিয়ার কার্কেট কুরলির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ৩৬ বছর বয়সী কিম সিউল, হংকংয়ের দ্য কফি অ্যাকাডেমিকসের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারউইম্যান জেনিফার ওয়াই ফান লিউ, জাপানের ইয়া-মানের প্রেসিডেন্ট কিমিও ইয়ামাজাকি (৫৮), থাইল্যান্ডের ওয়ান অরিজিনের সিইও কামনওয়ান উইপুলাকর্ন (৫৭), চীনের লুকিন কফির প্রতিষ্ঠাতা জেনি কিয়ান ঝিয়া, ফিলিপাইনসের ইনসুলার লাইফ অ্যাসুরেন্স কোম্পানির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান নিনা ডি অগাস।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877