স্বদেশ ডেস্ক:
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, শুধু আওয়ামী লীগকে ঠেঙ্গিয়ে এ সরকার দেশকে বাঁচাতে পারবে না। এটা দুর্নীতি মুক্তির পদক্ষেপ, এটা দেশবাসী ভাবতেই পারে না। জাতির এ দুঃসময়ে প্রয়োজন জাতীয় সংলাপ। একটি আন্তরিক জাতীয় সংলাপ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশকে বাঁচাতে পারবেন না।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ সম্পর্কে দলীয় বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাসরিন সিদ্দিকী, প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক।
দেশের এসময়ে চাই সরকার একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজন করুক- এমন অভিমত ব্যক্ত করে বঙ্গবীর আরো বলেন, আওয়ামী লীগে এত দুর্নীতিবাজ থাকে তাহলে তো এদের ক্ষমতায় থাকারই অধিকার নেই। সত্যিকার অর্থে এসরকার গণতান্ত্রিক সরকার না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের পক্ষে বর্তমানে দুনীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সরকারকে মুক্তকণ্ঠে সমর্থন জানানোর কথা জানানো হয়। এর পাশাপাশি বলা হয়, এক্ষেত্রে শুধু আওয়ামী ঘরানার লোকদের একের পর এক গ্রেফতার দেখে আমরা অবাক ও বিষ্মিত, তবে দেশের সমস্ত দুনীতি সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে, অন্য দল, গোষ্ঠী তারা কি ধোয়া তুলসী পাতা? ক্রিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে মসজিদের শহর ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করার পুলিশসহ প্রশাসনের কারোর কি ভূমিকা নেই? ব্যাংক, শেয়ারবাজার লুট, টেন্ডারবাজি, রাস্তাঘাটে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ এসবের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা আন্তরিকভাবেই এ অভিযানে ব্রতি সেটা দেশবাসী দেখতে চায়। আসুন ৭১’র মতো সকলে মিলে দেশের এ চরম দুর্যোগ থেকে উত্তরণের চেষ্টা করি।
শুধু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে দুনীতি দমন বা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা সম্ভব এরকম একটা ধারণা সৃষ্টির অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ দেশে সাম্প্রতিকালে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্লজ্জ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে, যেটা প্রশাসনের মাধ্যমে সংঘঠিত হয়েছে। যে প্রশাসন দিয়ে এত বড় দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে তাদের পক্ষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৈতিক অবস্থান নেয়া কতটা সম্ভব তা বিবেচনার দাবি রাখে।