শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে পুরুষের অন্তর্বাস!

বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে পুরুষের অন্তর্বাস!

স্বদেশ ডেস্ক:

র্তমানে বিশ্বে তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্ধ্যাত্বের পরিমাণ। পিতৃত্ব সুখ পেতে চাইলে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ি পুরুষেরাই। ধূমপান,মদ্যপান, ব্যায়াম— এ সব কিছুই শুক্রাণুর সংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকি অন্তর্বাসও প্রভাব ফেলে এর ওপর।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন বিচিত্র তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরলে কমে যায় শুক্রাণুর সংখ্যা। অন্যদিকে, যারা অপেক্ষাকৃত ঢিলেঢালা, আরামদায়ক অন্তর্বাস পরেন, তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে।

ব্রিটিশ গবেষক লিডিয়া মিনগুয়েজ-অ্যালারসিয়ন জানান,শুক্রাণু উৎপাদনের ওপর অন্তর্বাসের কোনো প্রভাব রয়েছে কিনা তা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই গবেষণা চলছে। এই গবেষণার জন্য ১৮ থেকে ৫৬ বছর বয়সি মোট ৬৫৬ জন পুরুষকে বেছে নিয়েছিলেন যারা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা খুঁজছিলেন। গবেষণায় তাদের রক্ত ও শুক্রাণুর নমুনা নেওয়া হয় এবং তাদের অন্তর্বাসের ব্যাপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হয়।

এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৪৫ জন পুরুষ জানান, তারা সাধারণত আরামদায়ক ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরেন। এই ৩৪৫ জন পুরুষ ছিলেন কমবয়সি ও অপেক্ষাকৃত কম স্বাস্থ্যের অধিকারী। গবেষণায় দেখা যায়, ৩৪৫ জনের শুক্রাণুর সংখ্যার অন্যদের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি ছিল।  স্পার্ম কনসেনট্রেশন ছিল ২৫ শতাংশেরও বেশি, মোটাইল বা সক্রিয় শুক্রাণু ছিল ৩৩ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে, আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরার অভ্যাস রয়েছে যাদের, তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা অনেকটাই কম। এ বিষয়ে অধ্যাপক লিডিয়ার মত, গরম বা উষ্ণতা পুরুষদের শুক্রাণুর উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে, কুপ্রভাব ফেলে শুক্রাণুর সংখ্যার উপর।

বিশ্বের অনেক গবেষকের মতে, এ গবেষণায় শুধুমাত্র অন্তর্বাসের ধরন দেখা হয়েছে। এই অন্তর্বাস তৈরিতে ব্যবহৃত কাপড় বা অন্তর্বাসের ওপর পরা প্যান্টের ধরণ নিয়ে কোনও প্রশ্ন বা পরীক্ষা করা হয়নি যা এই গবেষণার একটি সীমাবদ্ধতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই গবেষণার সীমাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে অধ্যাপক লিডিয়া মিনগুয়েজ-অ্যালারসিয়ন জানান, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এই গবেষণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বিষয়ে এত বেশি মানুষের ওপর গবেষণা আগে কখনও হয়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877