স্বদেশ ডেস্ক:
রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হচ্ছে আজ শনিবার। নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন দলটির ১৬ জন নেতা। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে রংপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, মনোনয়নবঞ্চিতদের ভোটের মাঠে নামানোই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সবাই একজোট হয়ে না নামলে পরিণতি হবে গত সিটি মেয়র নির্বাচনের মতো।
রংপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গণভবনে আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেনÑ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি ম-ল, জেলা প্রচার সম্পাদক রোজী রহমান, মহানগর প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইমলাম মিলন, মহানগর শ্রম সম্পাদক আবদুল মজিদ, জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু ও দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এটিএম তৌহিদুর রহমান টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গোলাম রব্বানী বিপ্লব, জেলা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর সভাপতি সফিউর রহমান, মহানগর সহসভাপতি দিলশাদ ইসলাম ও হাবিবুল হক সরকার। তাদের অনেকেই সিটি নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ২০১৭ সালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর পক্ষে মাঠে ছিলেন না দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী। ফলে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার উপনির্বাচনেও মনোনয়নবঞ্চিতরা নিজেদের গুটিয়ে রাখলে নৌকার প্রার্থী বেকায়দায় পড়বেন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, দলীয় সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে তারা কাজ করবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী তুষার কান্তি ম-ল বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন না দিলেও আমি নৌকার পক্ষে কাজ করব। রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, মনোনয়ন না পেলেও আমি নৌকার পক্ষে মাঠে থাকব। তৌহিদুল রহমান টুটুল বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগ করি। মনোনয়ন চেয়েছি। না পেলেও দলের সঙ্গে থাকব এবং নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে কাজ করব। প্রায় একই ধরনের কথা বলেন মনোনয়নপ্রত্যাশী আরও কয়েকজন। এ ধরনের কথা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ও বলা হয়েছিল।