স্বদেশ ডেস্ক:
বিশ্বের দরবারে বিমানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পরিচিত পাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলভাবে বিমান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল থেকে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ গাঙচিলের বাণিজ্যিক যাত্রার উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমানের মাধ্যমেই পরিচিত পাবে বাংলাদেশ। আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি করতে দ্রুতই দুটি কার্গো বিমান ক্রয় করা হবে।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন বোয়িং (৭৮৭-৮) ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বাণিজ্যিক যাত্রায় প্রথম ফ্লাইট নিয়ে রওনা করবে বিকেলে। সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী ফ্লাইটে আবুধাবির উদ্দেশে আকাশে ডানা মেলবে ‘গাঙচিল’।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে। অন্য উড়োজাহাজের চেয়ে এর জ্বালানি খরচও ২০ শতাংশ কম।
ড্রিমলাইনার গাঙচিলের ২৭১ আসনের মধ্যে ২৪টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসের আসন। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড সুবিধা রয়েছে।
গাঙচিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা দেবে যাত্রীদের। যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্রাউস করতে পারবেন এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে অবস্থিত বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।
গত ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে আনা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘গাঙচিল’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘গাঙচিল’। এই নিয়ে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল তিনটিতে।
২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার জন্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর আগে এগুলোর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি ড্রিমলাইনারের ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের বহরে আকাশবীণা ও হংসবলাকা যুক্ত হওয়ার পর আজ যুক্ত হলো ড্রিমলাইনার গাঙচিল।
আগামী সেপ্টেম্বরে দেশে আসতে পারে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’।