স্বদেশ ডেস্ক:
নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধ পাচ্ছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে সেটি আর কমছে না। এতে ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বাজার করতে গিয়ে অনেকটা খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। ফলে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আবার বেড়েছে পেঁয়াজ, মুরগীর দাম। ৫০ টাকার নিচে পেঁপে ছাড়া কোন সবজি নেই। ছোট সাইজের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। এছাড়া টাটকিনি, টেংরা ও মাঝারি আকারের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারের কম দামের মাছ হিসেবে পরিচিত তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশের দামও বেড়েছে। বড় আকারের পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে, আর একটু ছোট পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। এসব মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। পাবদা মাছ (বড়) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। ছোট পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া বোয়াল, কই, শিং মাছের দাম বাড়ায় সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। প্রতি কেজি কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাতল ৩৮০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। ৬৮০ টাকার গরুর গোশত ৭০০ টাকায় এবং ৯০০ টাকার খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা কেজি দরে।
এ দিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এসব বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে, কচুর লতি ৬০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার পিস ৪০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, পটল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি থ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। বাজারে কাঁচামরিচের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
সবজির সাথে সাথে বেড়েছে শাকের দামও। পাট শাকের জোড়া আঁটি ২৫ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, মুলা শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১৫ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশী মসুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এছাড়া ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা
এদিকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কম ও ভারতে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে হঠাৎ করেই বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে বন্দরে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮-১০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।