বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

দেশত্যাগের চেষ্টা : পি কে হালদারের ২ নারী সহযোগী গ্রেপ্তার

দেশত্যাগের চেষ্টা : পি কে হালদারের ২ নারী সহযোগী গ্রেপ্তার

স্বদেশ ডেস্ক:

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড (পিএলএফএসএল) কোম্পানির প্রায় দুইশ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশত্যাগের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত ১৪ মে পলাতক পি কে হালদারকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেপ্তারের আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদের মতো বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।

৭ জুন ইডি আদালতকে জানায়, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়ার কথাও ইডি আদালতকে জানিয়েছে।

১১ জুলাই পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের নামে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে সেই অভিযোগপত্রে কী আছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশের কাছে কবে তাদের হস্তান্তর করা হবে, সে সম্পর্কেও জানা যায়নি।

এদিকে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।

পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানিয়েছে দুদক।

এর আগে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মানিলন্ডারিং আইনের মামলার ওইদিনই তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একই বছরের ১৬ মার্চ বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন পি কে হালদারের আরেক বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই। দুদক জানায়, পি কের টাকা পাচারের অন্যতম সহযোগী নাহিদা রুনাই। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা আত্মসাৎ ও পাচার হচ্ছে তার সব হিসাব রাখতেন রুনাই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877