মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন

ডিজিটালহাট থেকে গরু কিনলে বাসায় মাংস পৌঁছে দিব : মেয়র আতিক

ডিজিটালহাট থেকে গরু কিনলে বাসায় মাংস পৌঁছে দিব : মেয়র আতিক

স্বদেশ ডেস্ক:

এবছর এক লাখ গরু ডিএনসিসি ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গত বছর তিন সপ্তাহে ২৭ হাজার গরু বেচাকেনা হয়েছে, এবার আমাদের টার্গেট কমপক্ষে ১ লাখ গরু ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি করা। এটা যদি করতে পারি তাহলে প্রায় ৫ লাখ মানুষ গরুর হাটে যাবে না। এতে সংক্রমণের হার কমাতে পারব।

শুধু তাই না এবার ১ হাজার গরুকে আমাদের নির্ধারিত স্লাটার হাউজে (জবাইখানায়) কোরবানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। যারা ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কোরবানির গরু কিনে বুকিং দেবে তাদের কোরবানি মাংস আমরা বাসায় পৌছে দেব।

রোববার দুপুরে ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুহাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

ভার্চুয়াল এই সভায় প্রধান অতিথি হিসিবে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল অত্যান্ত দূরহ ব্যাপার। এখানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসছে। যেমন গতবার চ্যালেঞ্জ এসেছে টাকা দেওয়ার পর গরু যদি খারাপ হয় তাহলে কাকে ধরব? এটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের স্ক্রো পদ্ধতি দিয়েছে। স্ক্রো পদ্ধতি হলো আপনি গরু কিনবেন আপনার টাকা কিন্তু বিক্রেতা সরাসরি পাবে না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা অ্যাকাউন্টে যাবে। আপনি যখন নিশ্চিত করবেন আপনি গরুটা পেয়েছেন এবং গরু ঠিক আছে তারপরই টাকা ছাড় করবে। এই স্ক্রো পদ্ধতিতে নতুন প্লাটফর্মে কাজে লাগবে। কাজেই গরু কেনার পর ঠিক থাকবে না এটা আর হবে না এখন থেকে।

মেয়র বলেন, গত বছরের মতো এবারও আমরা একটা জায়গা ঠিক করেছি যেখানে ১ হাজার গরুকে কোরবানি দেওয়ার জন্য প্লাটফর্ম প্রস্তুত করেছি। ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট প্লাটফর্ম থেকে গরু কিনে ১০ জুলাইয়ের ভেতর বুকিং দিলে আমরা গরু জবাই দিয়ে তাদের বাসায় মাংস পৌছে দেব। এবার আমাদের টার্গেট এক হাজার গরুকে নির্ধারিত স্লটার হাউজে কোরবানি করা।

তিনি বলেন, গতবার তিন সপ্তাহে বিক্রি করেছিলাম ২৭ হাজার গরু। এবার টার্গেট কমপক্ষে ১ লাখ গরু যেন অনলাইনে বিক্রি করতে পারি। এক লাখ লোককে যদি ডিজিটাল প্লাটফর্মে গরু বিক্রি করতে পারি তাহলে কমপক্ষে ৫ লাখ লোককে কিন্তু গরুর হাটে যাবে না। আমরা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব। তিনি ১০ জুলাইয়ের মধ্যে গরু কিনে জবাইয়ের জন্য বুকিং দেয়ার আহ্বান জানান।

ডিএনসিসি ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ এবং সাভার থেকেও কেউ চাইলে এই ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনতে পারবেন বলে জানান মেয়র।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877