স্বদেশ ডেস্ক:
শ্রীমঙ্গলে বস্তাবন্দী যুবতির লাশ উদ্ধারের ১৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমের পরিচয়সহ পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। পুলিশ বলছে স্ত্রীকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী মসুদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ১৮ মে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সিন্দুরখান ইউনিয়নে পশ্চিম বেলতলী উদনা ছড়া ব্রিজের নিচে একটি সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা হয়। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে তদন্ত করে প্লাস্টিকের বস্তায় লেখা ‘মো. অনিক শ্রীমঙ্গল’ এর সূত্র ধরে মসুদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, আসামি মসুদ মিয়া একজন দাদন ব্যবসায়ী। তিনি চারটি বিয়ে করেছেন। মসুদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা মৃত নারী তার চতুর্থ স্ত্রী ডলি আক্তার। গত ৭/৮ মাস আগে ঝিনাইদহ সদর থানার বধনপুর গ্রামের মৃত ফেলু মন্ডলের মেয়ে ডলি আক্তারের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল নতুনবাজারে পরিচয় সুবাধে বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোজাহিদুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক।