শীতের প্রকোপে কাঁপছে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা ও চায়ের রাজ্য খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সকাল ৯টায় পর্যন্ত দেখা মেলেটি সূর্যের।
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত মঙ্গল ও সোমবার শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী মো: আনিসুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘বুধবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন।’
অন্যদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য এক-দুই ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে শ্রীমঙ্গলের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের শীতের পোষাক পরে হিমেল বাতাসকে উপেক্ষা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। চা শ্রমিকসহ কৃষি খামারে কাজ করা শ্রমিকরা তীব্র ঠান্ডায় ভয়াবহ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে শীত বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডাজনিত রোগ-বালাইও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি ও শাসকষ্টজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা।